সিনেমা, সঙ্গীত, নাচ, নাটক, সাহিত্য, শিল্প, বিজ্ঞান-চেতনা এবং আধ্যাত্মিকতার এক পীঠস্থান এই কেন্দ্রটি। ছবি- সংগৃহীত
পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় এবং জ্ঞানচর্চার পীঠস্থান ছিল নালন্দা। যার সুখ্যাতি ছিল গোটা বিশ্বে। এ যাবৎকালে তেমন কেন্দ্র আর তৈরি হয়নি। সেই ধারা বজায় রেখেই মুম্বই নগরীর বান্দ্রা-কুর্লা কমপ্লেক্সে জিয়ো ওয়ার্ল্ড সেন্টারের মধ্যেই খুলে গেল ‘নীতা মুকেশ আম্বানী কালচারাল সেন্টার’। মূলত ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতেই এমন অভিনব উদ্যোগ। শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপলক্ষে সেখানে বসল চাঁদের হাট।
গত বছর মা নীতা আম্বানীকে উৎসর্গ করে দেশের প্রথম এই ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি কালচারাল স্পেস’ তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুকেশ-কন্যা ঈশা আম্বানী। ভারতীয় শিল্পকলাকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে এবং সংরক্ষণ করতে বিশেষ এই সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে। নীতা নিজেও এক জন নৃত্যশিল্পী। একটি বিবৃতিতে নীতা বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন ধারাকে তুলে ধরা, উদ্যাপন করাই এই কেন্দ্রের উদ্দেশ্য। এই কেন্দ্রটিকে গড়ে তোলার পিছনে অনেকের পরিশ্রম রয়েছে। এই সফরটি অত্যন্ত পবিত্র। এমন একটি জায়গা তৈরি করার জন্য উদগ্রীব ছিলাম আমরা সকলেই। যেখানে ভারতীয় সিনেমা, নাটক, নৃত্য, সাহিত্য, লোককথা, শিল্প, বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা যায়। আবার পাশাপাশি, অন্যান্য দেশের সেরাটাও যেন আমরা এখানে তুলে ধরতে পারি।”
কী কী আছে এই সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে?
দু’হাজার আসন বিশিষ্ট গ্র্যান্ড থিয়েটার, চারতলা আর্ট হাউজ়, প্রায় ৫৭ হাজার স্কোয়ারফুট এলাকা বিস্তৃত প্রদর্শনীর জায়গা এবং একটি স্টুডিয়ো থিয়েটার। তিন দিনব্যাপী এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন হলিউড এবং বলিউডের বিভিন্ন তারকা। তার পর থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। সিনেমা, সঙ্গীত, নাচ, নাটক, সাহিত্য, শিল্প, বিজ্ঞান-চেতনা এবং আধ্যাত্মিকতার এক পীঠস্থান এই কেন্দ্রটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy