অতিমারির মধ্যে গর্ভবতী মায়েদের দায়িত্ব যেন আরও বেড়ে গিয়েছে। ফাইল চিত্র
মা হওয়া যেমন আনন্দের, তেমন দায়িত্বেরও। সন্তানধারণ করলেই সেই ভাবনা ঘিরে ধরে মনকে। অতিমারির মধ্যে গর্ভবতী মায়েদের দায়িত্ব যেন আরও বেড়ে গিয়েছে। নিজেকে এবং গর্ভস্থ সন্তানকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। দূরে থাকতে হবে ভাইরাস থেকে। ফলে অধিক চিন্তায় দিন কাটছে অনেকেরই। সন্তানকে এখনও কোলে নেওয়ার সময় না এলেও, এই মাতৃদিবস তাঁদেরও। অতিমারির মধ্যে কী ভাবে নিজেদের ভাল রাখবেন অন্তঃসত্ত্বারা?
কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। যাতে নিজের শরীর এবং মন যত্নে থাকে।
প্রতিরোধশক্তি
একার জন্য লড়াই নয়। সঙ্গে আছে সন্তানও। ফলে প্রতিরোধশক্তি বাড়ানোর দিকে আরও বেশি নজর দেওয়া দরকার। ভিটামিন সি ও ডি যাতে যথেষ্ট পায় শরীর, সে দিকে নজর দিতে হবে। লেবুর রস, ডাবের জলের মতো তরল পদার্থ বারবার খাওয়া যেতে পারে।
শরীরচর্চা
করোনা ছড়ানো শুরুর সময় থেকেই বারবার বলা হচ্ছে শরীরচর্চায় জোর দেওয়ার কথা। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকেরা মনে করাচ্ছেন, শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে রোগের সঙ্গে ল়ড়তে সুবিধা হবে। অন্তঃসত্ত্বাদের চলাফেরার ক্ষেত্রে সাবধান হতে বলা হয় ঠিকই, কিন্তু ব্যায়াম জরুরি। কোন কোন আসন করলে অসুবিধা হবে না, জেনে নেওয়া যায় চিকিৎসকের কাছে।
খাবার
সুপরিকল্পিত খাওয়াদাওয়া সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে। তাজা ফল, শাক-সব্জি অতি প্রয়োজনীয় মা ও সন্তানের জন্য। সঙ্গে চাই রোজ এক গ্লাস দুধ। কয়েকটি করে কাঠবাদাম। তারই সঙ্গেই অতিরিক্ত নুন খাওয়া যেন না হয়, সে দিকে খায়াল রাখতে হবে।
পরিচ্ছন্নতা
চলাফেরা করতে সামান্য অসুবিধা হয় এ সময়ে। তবু পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি অবহেলা করলে চলবে না। সামান্য কিছু খাওয়ার আগেও হাত পরিষ্কার করতে হবে। চোখ-মুখে হাত দিতে হলে স্যানিটাইজার রাখতে হবে হাতের কাছে।
মানসিক স্বাস্থ্য
আতঙ্ক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সাবধান হওয়া, সতর্ক থাকা জরুরি। কিন্তু অতিমারি নিয়ে আতঙ্কিত হলে চলবে না। নিয়ম মেনে থাকতে হবে। তবে কোনও কারণে সংক্রমিত হয়ে গেলেও ভয় পেলে চলতে না। তার প্রভাব পড়তে পারে সন্তানের উপরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy