ন্যানিটি পেশায় মডেল কিংবা অভিনেত্রী নন, তিনি এক জন ক্যাবচালক। ছবি: সংগৃহীত।
মাথায় একঢাল বাদামি চুল। চোখের মণি নীলচে। পাতলা গোলাপি ঠোঁট। ছিপছিপে চেহারা। ত্বক মাখনের চেয়েও কিছুটা মসৃণ। এমন বর্ণনা শুনে অনেকেরই চোখের সামনে ভেসে উঠতে পারে বার্বি পুতুলের অবয়ব। ৩০ বছর বয়সি ন্যানিটি হ্যামন্ড বার্বিই বটে। তবে রক্তমাংসের পুতুল। ন্যানিটি পেশায় মডেল কিংবা অভিনেত্রী নন, তিনি এক জন ক্যাব-চালক।
জন্ম থেকেই ন্যানিটিকে এমন বার্বির মতো দেখতে নয়। সম্প্রতি কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন তিনি। তার পর থেকেই এই ভোলবদল। নিজেকে বদলে ফেলার পর ন্যানিটি ঠিক করেন, এমন কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত হবেন, যেখানে সাধারণত মহিলাদের ভিড় কম। অনেক ভেবেই নিজের গাড়ি চালানোর প্রতিভাকে কাজে লাগালেন তিনি।
ন্যানিটি ক্যাব সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কয়েক দিনের মধ্যেই কাজে যোগ দেন। তার পর থেকে তাঁর ক্যাবেই উঠতে চাইছেন সকলে। পুরুষরা তো বটেই, মহিলারাও ন্যানিটির রূপে মুগ্ধ। অনেক বারই এমন হয়েছে, কোনও পুরুষ যাত্রী ন্যানিটির গাড়িতে উঠে আর নামতে চাননি। কোনওমতে পুলিশের সহযোগিতায় সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন তিনি।
কয়েক মাস হল ন্যানিটির বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। সম্পর্কে থাকাকালীন ন্যানিটি তাঁর স্বামীর গাড়িটিই ক্যাব হিসাবে চালাতেন। কিন্তু সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর সংস্থার কাছে তাঁকে একটি গাড়ি দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। ন্যানিটির আবেদনে সাড়া দিয়ে একটি গাড়ি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ওই গাড়িটিই এখন ন্যানিটির সর্বক্ষণের সঙ্গী।
অনেক যাত্রী আছেন, যাঁরা ন্যানিটিকে আগে থেকে চিনতেন না। গাড়িতে উঠতেই স্তম্ভিত হয়ে যান তাঁরা। ভুলে যান নিজেদের গন্তব্যের ঠিকানা। ন্যানিটি মনে মনে মজা পেলেও বাইরে কঠোর থাকেন। কিছু দিন আগেই সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্যাবচালকের স্বীকৃতিও পেয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy