Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Sleeplessness

টানা ১১ দিন দু’চোখের পাতা এক করেননি, নিদ্রাহীন দিনগুলির অভিজ্ঞতা জানালেন যুবক

না ঘুমিয়ে থাকার সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ভাঙতে চেয়েছিলেন যুবক। কিন্তু ১১ দিনের পর হাল ছাড়লেন। কেমন কাটল ঘুমহীন দিনগুলি?

Symbolic Image.

২৬৬ ঘণ্টা চোখ খুলে রেখেছিলেন টনি। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়া দিল্লি শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:৫৯
Share: Save:

না ঘুমিয়ে কত দিন থাকা সম্ভব? উত্তর তো দূর, অনেকে প্রশ্ন শুনেই আঁতকে উঠবেন। সম্প্রতি এক যুবক জানিয়েছেন, তিনি টানা ১১ দিন না ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। টনি রাইটস নামে ওই যুবক নিদ্রাহীন দিনের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন।

২৬৬ ঘণ্টা চোখ খুলে রেখেছিলেন টনি। ঘুম যে পেত না, তা নয়। প্রথম দু’-এক দিন খুবই সমস্যা হত। কিন্তু টনি পণ করেছিলেন জেগে থাকার। তবে পরের দিকে আসত না। জেগে থাকাই অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।

জেগে থাকার সময় কী ভাবে তাঁর মানসিক অবস্থা পরিবর্তন হয়েছিল, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। টনি বলেছেন, ‘‘জীবনে ঘুম কতটা জরুরি, এই ১১ দিনে বুঝেছি। অনিদ্রা শুধু শরীর নয়, মনের উপরেও প্রচণ্ড প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।বুদ্ধি- বিবেচনা নষ্ট করে দেয়। সেই সঙ্গে শারীরিক কিছু সমস্যা তো রয়েছেই।’’

টনি আরও বলেন, ‘‘ঘুম না হলে মস্তিষ্কে বড়সড় একটি প্রভাব পড়ে। এমনকি, দীর্ঘ দিন ঘুম না হওয়ার ফলে মাথার শিরাগুলি ফুলে ওঠে। এর ফলে মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা হয়। সেই সঙ্গে খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কমে যায়।’’

অনেকেই টনির দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, যে এত কষ্ট সহ্য করে করেও কেন না ঘুমিয়ে এতগুলি দিন থাকলেন। টনির উত্তর, ‘‘আমি আসলে না ঘুমিয়ে থাকার সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ভাঙতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। তবে এটুকু বুঝতে পেরেছি, সুস্থ থাকতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা কতটা।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Sleeplessness sleep
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE