শ্বাসকষ্ট কি হৃদ্রোগের পূর্বাভাস? ছবি: সংগৃহীত
অল্পবয়সেও এখন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনের সমস্যা থেকে শুরু করে আরও বেশ কিছু কারণের কথা বলছেন চিকিৎসকরা। হালে এর সঙ্গে যুক্ত হল ফুসফুসের সমস্যাও। অল্প পরিশ্রমেই যাঁরা হাঁপিয়ে পড়েন, যাঁদের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কম, তাঁদের হৃদ্রোগের আশঙ্কা বেশি। এমনই বলছে হালের গবেষণা।
সম্প্রতি ‘ইউরোপিয়ান রেসপিরেটরি সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস’-এ এই বিষয় নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ফুসফুসের ক্ষমতা কমতে থাকলে আচমকা হৃদ্রোগ বা ‘সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’-এর আশঙ্কা বাড়ে। শুধু তাই নয়, এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন এমন মানুষও, যাঁদের হৃদ্যন্ত্রের কোনও সমস্যা আগে ছিল না।
সুইডেনের লুন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২৮,৫৮৪ জনের উপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছেন। ৪০ বছর ধরে তাঁদের ফুসফুস এবং হৃদ্যন্ত্রের হাল পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই পরীক্ষা থেকে কী টের পাওয়া গিয়েছে? গবেষকদলের প্রধান সুনীলা জাইঘাম বলেছেন, ‘‘আচমকা হৃদ্রোগ বা ‘সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ যে কোনও মানুষের হতে পারে। এর পিছনে কী কারণ থাকতে পারে, তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই গবেষকরা কাজ করছেন। কিন্তু ফুসফুসের ক্ষমতার সঙ্গে এর আদৌ কোনও যোগ থাকতে পারে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। বর্তমান গবেষণা সেই বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে দিল।’’
গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, আপাত ভাবে সুস্থ, হৃদ্রোগের কোনও লক্ষণ নেই এমন মানুষও যে কোনও সময়ে ‘সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’-এ আক্রান্ত হতে পারেন। এর কোনও পূর্বাভাসই আগে দেওয়া সম্ভব হত না। এখন কিছুটা হলেও সম্ভব। যদি নিয়মিত ফুসফুসের পরীক্ষা করানো হয় এবং দেখা যায়, তার ক্ষমতা কমছে, তা হলে তাঁদের ক্ষেত্রে আচমকা হৃদ্রোগের আশঙ্কা বাড়ছে বলে ধরে নেওয়া যায়।
এই গবেগষণার ফলে আগামী দিনে অনেকেই আচমকা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে সচেতন হতে পারবেন বলেও দাবি করা হয়েছে গবেষণায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy