—প্রতীকী ছবি
অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লর আকস্মিক মৃত্যুতে হতচকিত অনুরাগীরা। বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ সিদ্ধার্থকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। চিকিৎসকদের মতে হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে সময় মতো সিপিআর বা কার্ডিয়াক পালমোনারি রিসাসিটেশন দেওয়া গেলে তা জীবনদায়ী হয়ে উঠতে পারে। সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর রিপোর্ট অনুযায়ী হাসপাতালের বাইরে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়া ১০ জনের মধ্যে ন’জনই মারা যান। কিন্তু সময় মতো সিপিআর দেওয়া গেলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
বিদেশে স্কুল-কলেজেও সিপিআরের পাঠ দেওয়া হয়। বাড়ির সদস্যরা এই পদ্ধতি শিখে রাখলে রাতবিরেতে পরিবারের কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে প্রাথমিক সাহায্য করা সম্ভব বলে মনে করেন চিকিৎসক সরোজ মণ্ডল। কিন্তু কী করে বোঝা যাবে কাকে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করতে হবে? রোগী হঠাৎ বুকে অস্বস্তি বোধ করলে, চোখে অন্ধকার দেখলে এবং এলিয়ে পড়লে বুঝতে হবে রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তখন গলার পাশে ক্যারোটিড ধমনী বা হাতের পালস দেখতে হবে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে সাময়িক ভাবে রোগীর হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যায়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রসূনকুমার মিত্রের মতে, ‘‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ক্ষেত্রে প্রথম তিন মিনিট হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ সময়। তারপর যত সময় যাবে রোগীর মস্তিষ্কে প্রভাব পড়বে।’’ প্রথম তিন মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছন সম্ভব না-ও হতে পারে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে সিপিআর দিলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব।
কার্ডিয়ার অ্যারেস্ট হওয়া রোগীকে সিপিআর দিতে যা করতে হবে-
রোগীর বুকের ঠিক মাঝখানে দু’হাতে চাপ দিতে হবে
এমন চাপ দিতে হবে যাতে সেই চাপ হৃদযন্ত্রকে আবার সচল করতে পারে
চাপ দিয়ে আবার ছেড়ে দিতে হবে যাতে চাপ দেওয়া অংশ আবার নিজের জায়গায় ফিরে আসে
এমন চাপ দিতে হবে যাতে বুকের ওই অংশ আড়াই থেকে তিন সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভিতরে ঢুকে যায়
এ ভাবেই মিনিটে ১০০ বারের বেশি চাপ দেওয়া যায় সে রকম গতিতে এই প্রক্রিয়া চালাতে হবে
কনুই ভাঁজ না করে, হাত সোজা রেখে রোগীর বুকে চাপ দিতে হবে
পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে রোগীর মুখে ফুঁ দেওয়া যেতে পারে
এ ক্ষেত্রে এক হাতে রোগীর নাক চেপে অন্য হাতে রোগীর থুতনি উপরে তুলে ধরে মুখ দিয়ে রোগীর মুখে ফুঁ দিতে হবে
৩০ বার বুকে চাপ দিয়ে দু’বার মুখে ফুঁ দিতে হবে
অনেকক্ষেত্রে সিপিআরের সময় চাপ বেশি হয়ে যেতে পারে। পাঁজরের হাড় ভেঙে যেতে পারে। তবে প্রসূনের মতে রোগীকে বাঁচাতে হৃদযন্ত্র চালু করাই মূল লক্ষ্য। ক্ষতিগ্রস্থ পাঁজরের চিকিৎসা পরেও করা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy