শিক্ষার ভবিষ্যত কী ছবি: সংগৃহীত
কোভিডের ধাক্কায় বড় বদল এসেছে শিক্ষাক্ষেত্রে। লকডাউনের দরুন একটা বড় অংশের ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেছে অনলাইন মাধ্যমে। এখন কোভিডের প্রকোপ কিছুটা কমায় ফের ক্লাসরুমে ফিরেছে ছাত্রছাত্রীরা। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, পড়াশোনা ক্লাস ঘরে ফিরলেও অনলাইন পড়াশোনার পদ্ধতি থেকে পাওয়া বেশ কিছু অনুসিদ্ধান্ত শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োগ করা যেতে পারে কোভিডোত্তর কালেও।
১। বদলের শিক্ষা: ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক, উভয় দিক থেকেই আদান-প্রদানের সম্পর্কে এসেছে বদল। এক দিকে অনলাইন শিক্ষা ভৌগলিক দূরত্ব ঘোঁচাতে সহায়তা করেছে, তেমনই বোঝা গিয়েছে সরাসরি ক্লাস করার গুরুত্বও। বুঝতে হবে কোনও একটি পদ্ধতিকেই মাথায় তুলে না রেখে ছাত্র-শিক্ষকের সুবিধা বুঝে পঠন-পাঠনের পদ্ধতি বেছে নেওয়াই হতে পারে সবচেয়ে ভাল উপায়।
২। শ্রেণি বৈষম্য: যখন অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতি চালু করার চেষ্টা করা হল, তখন স্পষ্ট করে বোঝা যায় কত শিশু এখনও ইন্টারনেট পরিষেবার বাইরে রয়েছেন। এক দিকে আধুনিক ভারত, অন্য দিকে দারিদ্র্য পীড়িত ভারতের এই ব্যবধান যাতে বেশি দিন স্থায়ী না হয়, নজর দিতে হবে সে দিকে।
৩। প্রযুক্তিই ভবিষ্যৎ: এখনও দেশের একটি বিরাট অংশ প্রযুক্তির ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত। কিন্তু এ কথা ভুললেও চলবে না যে প্রযুক্তিই শিক্ষার ভবিষ্যৎ। তাই চেষ্টা করতে হবে কী ভাবে দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের কাছে সহজে ও স্বল্প খরচে প্রযুক্তিকে পৌঁছে দেওয়া যায়।
কাজেই কোনও একটি পদ্ধতি নয়, অনলাইন ও অফলাইন দু’টি পদ্ধতিকেই চলতে হবে হতে হাত মিলিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy