টবের সার হবে রান্নাঘরের আবর্জনা।
টবে গাছ লাগিয়েছেন? কিন্তু সার হিসেবে কী ব্যবহার করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না? ভাবছেন, নার্সারি থেকে দামি সার কিনবেন, নাকি অনলাইনে রিভিউ পড়ে আনিয়ে নেবেন বিদেশি সার? সে ক্ষেত্রে আপনার জেনে রাখা দরকার, প্যাকেট-বন্দি সারের বদলে ব্যবহার করতে পারেন রান্নাঘর থেকে প্রতিদিন ফেলে দেওয়া কিছু জিনিস। দামি সারের চেয়ে কোনও অংশে কম কাজের নয় এগুলি।
প্রতি দিনের ফেলে দেওয়া কোন কোন জিনিস সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন? রইল তেমন কয়েকটি উদাহরণ।
কলার খোসা: এটি পটাসিয়ামে ভর্তি। টবের গাছের পটাসিয়ামের চাহিদার পুরোটাই পূরণ করতে পারে এটি। টবে কলার খোসা সরাসরি পুঁতে দিন। বা খোসা ছোট করে কেটে ২৪ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তার পরে সেই জল টবে দিন অল্প অল্প করে।
ডিমের খোলা: গাছের ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারে এটি। রোজ তো ফেলেই দেন। এ বার বরং এই খোলা গুঁড়ো করে নিয়ে মিশিয়ে দিন আপনার বাড়ির টবগুলিতে।
কফির গুঁড়ো: রোজ ফিল্টার কফি খান? ছেঁকে নেওয়ার পর তার গুঁড়ো দানাগুলি ফেলে দেন? আর দেবেন না। গোলাপ এবং টমোটে গাছের খুব ভাল সার হতে পারে এটি। ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর সরাসরি টবে ঢেলে দিতে পারেন এই কফির গুঁড়ো। বা জলে ভিজিয়ে রেখে পরেও দিতে পারেন।
গ্রিন টি: রোজ গ্রিন টি খান? তার পরে সেই টি ব্যাগগুলি ফেলে দেন। এ বার থেকে ওই টি ব্যাগ আরও এক বার ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে নিন। একটা টি ব্যাগ ২ লিটার জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। সেই জল রোজ দিন গাছের গোড়ায়।
পেঁয়াজ-রসুনের খোসা: এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়ান, ক্যালসিয়াম আর আয়রন থাকে। এই খোলা ১ লিটার জলে ভাল করে ভিজিয়ে রাখুন। ৩-৪ দিন ভিজিয়ে রাখার পর তার মধ্যে আরও ১ লিটার জল ঢালুন। এ বার এই মিশ্রন সার হিসেবে গাছের গোড়ায় দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy