নজির গড়ে দেশে এই প্রথম চালু হল রূপান্তরকামীদের জন্য ওয়ার্ড। ছবি- সংগৃহীত
রূপান্তরকামীদের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা একটি বিভাগ চালু করল মহারাষ্ট্রের গোকুলদাস তেজপাল হাসপাতাল। এমন সিদ্ধান্ত দেশে এই প্রথম। মহারাষ্ট্র সরকার পরিচালিত ওই হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক পল্লবী সাপলে বলেন, “৩০ শয্যা বিশিষ্ট এই বিভাগে শুধু শারীরিক নয়, তাঁদের মানসিক সমস্যারও চিকিৎসা করা হবে।” শুধু তাই নয়, তাঁদের জন্য লিঙ্গভেদ বর্জিত শৌচাগারও তৈরি করা হয়েছে।
নারী-পুরুষ বাদে তৃতীয় পরিসরের মানুষদের নিয়ে সমাজে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ কম হয় না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের অধিকারের জন্য তাঁদের লড়াইও করতে হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে যে আলাদা করে কারও চিন্তা না থাকারই কথা। সাধারণ ভাবে যে চিকিৎসা পদ্ধতিতে নারী বা পুরুষদের চিকিৎসা হয়, তৃতীয় পরিসরের চিকিৎসা পদ্ধতি একটু হলেও আলাদা। তার জন্য আলাদা প্রশিক্ষণেরও প্রয়োজন। সাপলে বলেন, “চিকিৎসক ছাড়াও চিকিৎসায় সহায়তা করবেন যে সব কর্মীরা, তাঁদেরও আলাদা করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।”
হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী, সেখানে চিকিৎসা করাতে গেলে নিজের পরিচয়পত্র জমা রাখতে হবে। যদি কারও পরিচয়পত্র না থাকে, সে ক্ষেত্রে স্বপ্রত্যয়িত চিঠিতে নিজের যাবতীয় সমস্যার কথা লিখিত ভাবে জানালে তবেই লিঙ্গ পরিবর্তন বা সেই সংক্রান্ত জটিল কোনও রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব।
কিছু দিন আগেই দেশে নজির গড়ে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে দুই রূপান্তরকামীকে নিয়োগ করে তেলঙ্গানা সরকার। তালাও-এর গোকুলদাস তেজপাল হাসপাতালের পর অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও এই বিভাগ খোলার পরিকল্পনা করছে মহারাষ্ট্র সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy