খাদ থেকে উদ্ধার করল ঘড়ি। ছবি- সংগৃহীত
‘অ্যাপল’ সংস্থার মোবাইল অনেকেই ব্যবহার করেন। সঙ্গে এখন আবার কব্জিতে শোভা পায় ওই সংস্থার হাতঘড়িও। যা ‘অ্যাপল ওয়াচ’ নামেও পরিচিত। অন্য ফিটনেস ব্যান্ডগুলির মতোই এই ঘড়িরও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে, যেগুলি আমাদের শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখে। সেই ঘড়ি এতই কাজের যে, তার থেকে পাওয়া তথ্য দেখে অনেকেই বড়সড় শারীরিক বিপত্তি আটকানো গিয়েছে।
তবে এ বারের ঘটনাটি একেবারেই আলাদা। ১৭ বছর বয়সি, স্মিথ নীলেশ মেথা-সহ চার ডাক্তারি পড়ুয়া ট্রেক করতে গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের ভিসাপুর দুর্গে। ঘুরে ফেরার সময়, ওই চার বন্ধুর মধ্যে এক জন পা পিছলে খাদে পড়ে যান।
চেষ্টা করেও বন্ধুরা তাঁকে ধরতে পারেন না। পাহাড় থেকে প্রায় ১৫০ মিটার গভীরে পড়ে গেলেও, খাদের ঢালে জমে থাকা শুকনো পাতায় আটকে যান নীলেশ। তাকে উদ্ধার করতে সঙ্গে থাকা আরও তিন বন্ধু অন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে উঠতে পারছিলেন না।
পাহাড়ে ওঠার সময় যাতে কষ্ট কম হয়, তাই তারা একটি মাত্র ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে উঠেছিলেন এবং তার মধ্যেই চারটি ফোন রাখা ছিল। কিন্তু মুশকিল হল, ওই ব্যাগটি ছিল নীলেশের কাছে। ব্যাগসমেতই নীলেশ পাহাড়ের খাদে পড়ে যাওয়ায় বন্ধুরাও কী করবেন, ভেবে পাচ্ছিলেন না।
কিন্তু হঠাৎ করেই নীলেশের মনে পড়ে, তাঁর হাতের সেলুলার অ্যাপল ঘড়িটির কথা। যার সাহায্যে ১৫০ মিটার গভীরে পড়ে গেলেও সেখান থেকে তিনি তার পরিবার এবং অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে, পরিবারের লোকজন এবং বন্ধুরা উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তৎক্ষণাৎ এসে তারাঁ নীলেশকে খাদ থেকে তুলে এনে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন।
খাদে পড়ে যাওয়া ওই তরুণ জানান,“পাহাড় চূড়োয় ওঠার সময় কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু ফেরার পথে, প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ায়, রাস্তাও পিছল হয়ে গিয়েছিল। খাদে পড়ে গেলেও গাছের ঝরা পাতার পুরু স্তরে আটকে গিয়েছিলাম আমি।”
সৌভাগ্যবশত দুটি পায়ের গোড়ালির হাড় সরে যাওয়া ছাড়া নীলেশের প্রাণসংশয় হওয়ার মতো তেমন কিছু ঘটেনি বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে নীলেশের অস্ত্রোপচারও সফল হয়েছে।
প্রাণ ফিরে পাওয়ায় কৃতজ্ঞ নীলেশ, সুস্থ হওয়ার পর ধন্যবাদ জানিয়ে একটি মেলও পাঠিয়েছে অ্যাপল সংস্থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy