৪৪ বছর বয়সি প্রিয়া প্রায় দু’বছর ধরে পায়ের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। ছবি: সংগৃহীত
শরীরে কোনও রকম সমস্যা হলেই সাধারণত মানুষ চিকিৎসকের কাছে ছোটে। উদ্দেশ্য একটাই, তিনি সমস্ত শারীরিক সমস্যার সমাধান করে দেবেন। তবে সম্প্রতি কেরলের এক চিকিৎসকের কাণ্ড দেখে নেটিজেনরা স্তম্ভিত। এক মহিলা পায়ে ব্যথা নিয়ে তাঁর কাছে গেলে তিনি প্রেসক্রিপশনে লেখেন, "কোনও সমস্যা হলে স্বামীকে পানশালায় পাঠান!" ভাবছেন, মশকরা? আজ্ঞে না, এমনটা কিন্তু সত্যিই হয়েছে।
৪৪ বছর বয়সি প্রিয়া প্রায় দু’বছর ধরে পায়ের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি তাঁর স্বামী অনিল কুমারকে নিয়ে ত্রিশুরের দয়া হাসপাতালের ভাস্কুলার সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক রায় ভার্গিসের কাছে যান। প্রথমে প্রিয়াকে পায়ের এক্সরে করতে বলা হয়। এক্সরে রিপোর্ট দেখে সেই চিকিৎসক প্রিয়াকে অন্য কোনও চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তখন প্রিয়া চিকিৎসককে জানান, তিনি যন্ত্রণায় ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন। ব্যথা কমানোর কোনও ওষুধ লিখে দেওয়ার জন্য প্রিয়া চিকিৎসককে অনুরোধ করেন। প্রেসক্রিপশনে কী লেখা আছে তা না পড়েই দম্পতি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন। ওষুধের দোকানে সেই প্রেসক্রিপশন দেখানোর পর সেই দম্পতিকে নিয়ে শুরু হয় মশকরা। ওষুধের দোকানের এক কর্মী প্রেসক্রিপশনটি জোরে জোরে পড়লে স্তম্ভিত হয়ে যান দম্পতি। প্রেসক্রিপশনে লেখা, "বিশ্রামের প্রয়োজন নেই। কোনও সমস্যা হলে বরকে পানশালায় পাঠিয়ে দিন!" এই বাক্যের নীচে লেখা, "মেডিসিনের চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।"
চিকিৎসকের এই আচরণে ভীষণ ক্ষুব্ধ হন দম্পতি। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। দয়া হাসপাতালের তরফে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, তাঁরা দম্পতির কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দিতে পারেননি। তাঁকে আপাতত সাসপেন্ড করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy