অফিসের প্রবল কাজের চাপ! সে চাপ কি আপনি একা সহ্য করছেন, না কি তাল মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ল্যাপটপও? খাওয়ার ফুরসত নেই। চা-কফি, টুকিটাকি খাওয়া সবই ল্যাপটপের সামনে বসে। কখনও সেই খাবারের কণা ঢুকে যায় কি-বোর্ডে, কখনও আবার সেটি চার্জে দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করেন অনেকেই। নিয়মিত যাঁরা ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন, তাঁরা অনেকেই নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। অনেক ক্ষেত্রে বছরখানেকের মধ্যেই বিগড়ে যেতে শুরু করে যন্ত্রটি। কখনও অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়, কখনও কি-বোর্ড কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
যন্ত্র ভাল রাখতে গেলে তারও যত্ন প্রয়োজন। দিনরাত ল্যাপটপ ব্যবহার করলেও অনেকেই এক মাসে ধুলোও ঝাড়েন না বা সঠিক ভাবে ল্যাপটপে চার্জ দেন না। এমন নানা কারণে ল্যাপটপের আয়ু কমতে পারে। জেনে নিন, কী ভাবে তা ব্যবহার করবেন এবং কী ভাবে যত্নে রাখবেন?
১. নিয়মিত ল্যাপটপ পরিষ্কার করতে হবে। তবে হাতের কাছে থাকা যে কোনও কাপড় দিয়ে মুছে দিলেই কিন্তু হবে না। যন্ত্রটি ভাল রাখতে ল্যাপটপ পরিষ্কারের জন্যই তৈরি ভাল মানের ক্লিনার কিনুন। সেই দ্রবণ সরাসরি ল্যাপটপে না দিয়ে পরিষ্কার মাইক্রোফাইবার কাপড়ে ঢেলে নিয়ে আলতো করে যন্ত্রটি মুছে নিন।
২. ল্যাপটপের ব্যাটারির আয়ু ধরে রাখতে হলেও কয়েকটি কৌশল মানতে হবে। অনেকেই ল্যাপটপের চার্জার প্লাগে লাগিয়ে সুইচ চালিয়ে সারাটা দিন কাজ করেন। এতে ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি ব্যাটারি ৮০ শতাংশ চার্জ হওয়ার পরে তা বন্ধ করে দেওয়া যায়। আবার চার্জ ফুরিয়ে গেলে সেটি চার্জে দেওয়া দরকার। এখন অবশ্য অনেক ল্যাপটপে চার্জ হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আবার চার্জ ফুরিয়ে গেলে নিজে থেকেই তা চালু হয়।
আরও পড়ুন:
৩. কাজ করতে করতে চা-কফি বা খাবার খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। অসাবধানে ল্যাপটপের কি বোর্ডে চা-কফি পড়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কি-বোর্ডে খাবার টুকরো ঢুকে, চা-কফি পড়ে গেলে নিশ্চিত ভাবেই ল্যাপটপের ক্ষতি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে স্ক্রিনগার্ডের পাশাপাশি ল্যাপটপ কি-বোর্ড গার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
৪. দীর্ঘ ক্ষণ কাজ করলে ল্যাপটপ গরম হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে টেবিলে রেখে কাজ করলে এই সমস্যা খানিক কমে। অনেকেই বিছানা বা বালিশের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ করেন। এতে যন্ত্র আরও দ্রুত গরম হয়ে যায়, যা ল্যাপটপের আয়ু কমিয়ে দিতে পারে। টেবিলে বসে কাজ করলেও যন্ত্রটি ঠান্ডা রাখলে ‘ল্যাপটপ কুলিং প্যাড’ ব্যবহার করতে পারেন।
৫. কাজের পর অনেকেই ল্যাপটপ যেখানে-সেখানে ফেলে রাখেন। বিশেষত জানলার ধারে বা গাড়ির সিটে রাখলে চড়া রোদে, অতিরিক্ত তাপে ল্যাপটপের ক্ষতি হতে পারে। তাই সেটি যথাস্থানে রাখা দরকার। ধাক্কাধাক্কি বা ঠোকাঠুকিতে ল্যাপটপের স্ক্রিন ভাঙতে পারে বা যন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ল্যাপটপের জন্য প্যাড দেওয়া নির্দিষ্ট ব্যাগ ব্যবহার করাই ভাল।