প্রতীকী ছবি।
অফিসের মিটিংয়ের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে বাজার থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে ভুল গেলেন? বাচ্চার গানের অনুষ্ঠানে যেতে গিয়ে প্রিয় বান্ধবীর জন্মদিনে অভিনন্দন জানানো হল না? রোজকার জীবনে কাজের চাপ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে এমন ভুল হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। মানুষের মস্তিষ্ক একসঙ্গে অনেক তথ্য ধরে রাখতে পারে না। তাই শুধু স্মৃতির উপর ভরসা না করে আপনার উচিত সব কাজ লিখে রাখার। এখন অবশ্য এই কাজগুলি করার জন্য প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গিয়েছে। ফোনেও রিমাইন্ডার সেট করে রাখা যায়। গুগ্ল ক্যালেন্ডার মনে করিয়ে দেয় জরুরি কাজের কথা। তবে অনেকেই এখনও প্ল্যানার কিনে তাতে সব কিছু লিখে রাখতে বেশি স্বচ্ছন্দ। যাতে প্রয়োজনের সময়ে সব কিছু একসঙ্গে চোখের সামনে পাওয়া যায়। কিন্তু এই প্ল্যানারে শুধু লিখে রাখলেই আপনার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না। কিছু নিয়ম মেনে প্ল্যানার ব্যবহার করলে তবেই সঠিক ফল পাবেন।
১। প্রত্যেকদিন ১০-১৫ মিনিট আলাদা করে সরিয়ে রাখুন যখন এই নোটবই নিয়ে বসবেন। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করতে এইটুকু সময় আপনাক ব্যয় করতেই হবে। পারলে সকালে উঠে প্রথম কাজই এটা করুন। তাহলে বাকি দিনের কাজ নিয়ে একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে।
২। শুধু পেশাদার কাজের তালিকা বানাবেন না। যতটা পারেন দিনের সব কাজের তালিকা তৈরি করুন এবং কোন সময়ে করবেন, সেটা ঠিক করে নিন। তাহলে আপনারই সুবিধা হবে। পেশাদার এবং ব্যক্তিগত কাজের জন্য আলাদা রঙের পেন ব্যবহার করতে পারেন।
৩। শুধু পরিকল্পনা করলেই চলবে না। আপনাকে সেই মতো বাকি কাজও করতে হবে। তাই এই নোটবই এমন জায়গায় রাখুন, যেটা সহজেই চোখের সামনে দেখতে পাবেন। মাঝেমাঝে সেটা খুলে মিলিয়ে দেখুন।
৪। কোনও কাজ শেষ হয়ে গেলে সেটা কেটে দিতে ভুলবেন না। এই টিক চিহ্ন দেওয়ার একটা আলাদা মজা রয়েছে। সেটা একবার যদি পেয়ে যান, তাহলে সেটাই অনুপ্রাণিত করবে আপনাকে বাকি কাজগুলো শেষ করার জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy