প্রতীকী ছবি।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আপনার রোজকার অভ্যাস কী রকম? দাঁত মেজে, ময়েশ্চারাইজার লাগিয়েই ঘুমিয়ে পড়েন কি রোজ? নাকি একটার পর একটা ভারী ভারী ক্রিম, সেরাম, ময়েশ্চারাইজার মেখেই যান শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা নির্বিশেষে? কম বয়সেই যদি চেহারায় বুড়োটে ভাব চলে আসে, তার জন্য দায়ী কিছু বদভ্যাস। সেগুলি দ্রুত না বদলালে ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তার আগেই সাবধান হন।
খুব বেশি ঘষাঘষি
রাতে ঘুমনোর আগে মেকআপ তুলছেন? খুব ভাল অভ্যাস। কিন্তু তোলার সময় তুলো দিয়ে খুব জোরে ঘষাঘষি করবেন না। তাতে ত্বক আরও স্পর্শকাতর হয়ে উঠবে। তাতে অ্যাকনের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। অয়েল বেস্ড ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে মেকআপ তুলতে হবে। হয়ে গেলে কোনও হালকা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। যদি মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে মেকআপ তোলেন, তা হলে তুলোটা মাইসেলার ওয়াটারে ডুবিয়ে কয়েক সেকেন্ড মুখের একেকটা অংশে (চোখ, ঠোঁট-গাল— যেখানে মেকআপ বেশি) ধরে থাকতে হবে। তারপর মুছে ফেলতে হবে একবারেই।
মুখ না ধুয়ে শুয়ে পড়া
অনেকে মেকআপ রিমুভার দিয়ে মেকআপ তুলেই ভাবেন সব কাজ শেষ। কিন্তু তা নয়। মেকআপ উঠলেও রিমুভারে নোংরা ওঠে না। তাই মেকআপ তোলার পর কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতেই হবে। সারাদিন বাড়ি থেকে কোথাও বেরননি? মেকআপও করেননি? তা-ও মুখ ধোওয়া প্রয়োজন। সারাদিনের তেল, ঘাম, নোংরা জমে থাকলে ত্বকের কোষ আটকে যেতে পারে। এবং তার থেকেই হবে অ্যাকনে।
রেটিনল ব্যবহার না করা
দিনের সিরাম আর রাতের সিরাম এক নয়। দিনের বেলা যদি ভিটামিন সি সিরাম লাগান, তা হলে রাতে ব্যবহার করতে হবে রেটিনল সল্যিউশন। এই ধরনের সিরাম রাতে আপনি যখন ঘুমিয়ে থাকবেন, তখন কাজ করে। সারাদিনের ক্লান্তি মুছে, পুরনো মৃত কোষের জায়গায় ত্বকের নতুন কোষ তৈরির কাজে সাহায্য করে। তারুণ্য ধরে রাখতে এই ধরনের সিরাম কার্যকরী।
অধৈর্য হয়ে পড়া
রেটিনল বা অন্য ধরনের স্লিপিং প্যাক ত্বকে যে বদল আনে, তা বুঝতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ১ সপ্তাহ লাগালে কোনও ফারাক বুঝবেন না। ১ মাস লাগে অ্যাকনের সমস্যা মিটতে, ৩ মাস কালচে দাগ-ছোপ দূর করতে এবং প্রায় ৬ মাস লাগে বলিরেখা মেলাতে। অনেক সময় মাঝ পথেই ধৈর্য হারিয়ে মানুষ এগুলো ব্যবহার করা ছেড়ে দেন। কিন্তু অত অধৈর্য হয়ে পড়লে চলবে না। নিয়মিত যত্ন করে যেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy