আপনাকে লুকিয়ে আপনারই হোয়াট্সঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট কেউ ব্যবহার করছে না তো? কী ভাবে বুঝবেন? হোয়াট্সঅ্যাপ ব্যবহার করার সময়ে কী কী ভুল করছেন এবং কী ভাবে আপনার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখবেন, তা জেনে রাখা ভাল।
আপনারই হোয়াট্সঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে অন্য কেউ ঢুঁ মারছে কি না, তা বুঝতে হলে অ্যাকাউন্টের উপরের ডান দিকে গিয়ে তিনটি ডটে ক্লিক করুন। এ বার স্ক্রল করে ‘লিঙ্কড ডিভাইস’ অপশনে যান। সেটিতে ক্লিক করে দেখুন কী কী ডিভাইস আপনার হোয়াট্সঅ্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। যদি দেখেন অজানা কোনও নম্বর বা ব্রাউজ়ারের সঙ্গে আপনার অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত হয়ে আছে, তা হলে সেটি লগ আউট করে দিন। যদি আপনার নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজ়ারের পাশাপাশি আরও একাধিক ডিভাইস সংযুক্ত দেখায়, তা হলে সব ক’টিই বন্ধ করে দিন।
কী কী নিয়ম মানলে হোয়াট্সঅ্যাপ সুরক্ষিত থাকবে?
১) একাধিক ডিভাইসে হোয়াট্সঅ্যাপ ওয়েব খুলে রাখবেন না। ব্যবহারের পর প্রতিটি ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্ট লগ আউট করতে হবে।
আরও পড়ুন:
২) কম্পিউটারে খোলা হোয়াট্সঅ্যাপ পেজটির ডান দিকে একেবারে কোণে তিনটি ডট থাকে। সেখানে ক্লিক করতে হবে। সেখানে রয়েছে ‘সেটিংস’ মেনু। সেখান থেকে ‘প্রাইভেসি’-তে গিয়ে ‘স্ক্রিন লক’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এ বার স্ক্রিনে একটি মেসেজবক্স ফুটে উঠবে। সেখানে ক্লিক করে নিজের পছন্দমতো পাসওয়ার্ড দিন। এ ভাবে স্ক্রিন লক করে রাখতে পারবেন। তাতে কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকে পড়লেও চ্যাটবক্স ব্যবহার করতে পারবেন না।
৩) হোয়াট্সঅ্যাপের সমস্ত চ্যাটই এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন পদ্ধতিতে সুরক্ষিত থাকে। অর্থাৎ, তৃতীয় পক্ষ সেই কথোপকথন দেখতে পাবে না। যদি চ্যাট সুরক্ষিত রাখতে হয়, তা হলে টু স্টেপ বা দ্বিস্তরীয় ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে। তার জন্য প্রথমে হোয়াট্সঅ্যাপ সেটিংস-এ গিয়ে অ্যাকাউন্ট, এবং তার থেকে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অন করে দিলেই হবে। এটা আপনার অ্যাপ-এ একটা বাড়তি সুরক্ষাবলয় যোগ করবে একটি পিনের মাধ্যমে।
৪) আপনার ডিভাইসটি যে ভাবে প্যাটার্ন বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক করতে পারেন, একই ভাবে হোয়াট্সঅ্যাপ ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডি দিয়ে লক করে রাখা যেতে পারে।
৫) হোয়াট্সঅ্যাপ বা ইমেলে আসা কোনও অজানা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। এতে আপনার মোবাইলে ম্যালঅয়্যার ইনস্টল হয়ে যেতে পারে। এক বার সেটি হলে হোয়াট্সঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট তো বটেই, অজান্তে আপনার ফোনটিও অন্যের নজরদারিতে চলে যাবে।