শরীরে জমা ‘টক্সিন’ দূর করতে গেলে নিয়মিত ডিটক্স পানীয় খেতে হবে। বাড়তি মেদ ঝরাতে চাইলে বিপাকহার বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন। সেই কাজটি করতেও সাহায্য করে এই ডিটক্স পানীয়। তবে এই পানীয় শখ করে এক-আধ দিন খেলে হবে না। নিয়মিত খেতে হবে। অনেকে আবার দ্রুত ফলের আশায় ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নানা রকমের ডিটক্স পানীয় খেয়ে থাকেন। তবে কী ধরনের পানীয় খেলে ওজন কমবে, তা জেনে রাখা ভাল।
পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর মত, “ডিটক্স মানে হল ‘ডিটক্সিফিকেশন’। প্রতি দিন যে খাবার খাওয়া হয় তা ঠিকমতো হজম না হলে তার থেকে দূষিত পদার্থ জমা হয় শরীরে। আর যদি বাইরের খাবার, ভাজাভাজু, জাঙ্ক ফুড বেশি খাওয়া হয়, তা হলে সেইসব প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকা রাসায়নিক টক্সিন হিসেবে জমতে থাকে যা গ্যাস-অম্বল, পেটের সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে। অ্যালকোহল বা বিভিন্ন রকম ওষুধের উপাদানও এই বিষ প্রবেশের কারণ হতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য এই সব টক্সিন বা বিষ শরীর থেকে বার করা প্রয়োজন। ডিটক্স পানীয় খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে, ট্রাইগ্লিসারাইড জমতে পারে না, ফলে ওজনও কমতে থাকে।
কী ধরনের ডিটক্স পানীয় ওজন কমাবে?
স্ট্রবেরি, লেবু, তুলসি পাতার ডিটক্স
৬ থেকে ৮টি স্ট্রবেরি, একটি গোটা পাতিলেবু দু'টুকরো করে কাটা, একমুঠো তুলসি পাতা, ২-৩ কাপ জল নিতে হবে। কাচের জারে সমস্ত উপকরণ ভিজিয়ে রাখুন। সারা রাত ভেজাতে পারলে ভাল হয়। তার পর এই জলটা অল্প অল্প করে খেতে হবে।
আরও পড়ুন:
আনারস-পুদিনার ডিটক্স
২ থেকে ৩ কাপ জল নিতে হবে। এ বার কাচের জারে জল নিয়ে তাতে এক কাপ আনারসের টুকরো, ৫-৬টি পুদিনা পাতা ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টা দুয়েক। তার পর সেই জল খেতে হবে। নিয়মিত খেলে বাড়তি ক্যালোরি ঝরে যাবে।
আপেল-দারচিনির ডিটক্স
একটি গোটা আপেল ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এ বার একটি কাচের জারে জল নিয়ে আপেল টুকরো ও ২-৩টি দারচিনির স্টিক ফেলে দিন। তাতে কিছু পুদিনা পাতাও মেশাতে পারেন। ঘণ্টা দুয়ের জারটি ফ্রিজে রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে ডিটক্স পানীয়। এই জল ওজন কমাবে, পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রাও কমাবে।