ফ্রোজেন শোল্ডারের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ কমই আছেন। কাজের চাপ, ঘুমের অভাব, পুরনো চোট বা শরীরচর্চা না করা। যে কারণেই হোক না কেন ঘাড়ের ব্যথা ভোগায় সকলকেই। কেন হয় ফ্রোজেন শোল্ডার? রোজ কী কী করলে উপকার পাবেন, প্রচন্ড ব্যথাতেই বা কী ভাবে আরাম পাবেন। ব্যথার চোটে পেন কিলার খাওয়া, স্প্রে করার অভ্যাস কিন্তু ছাড়তে হবে। এতে শরীরের ক্ষতি হয়। জেনে নিন কয়েকটা ঘরোয়া টোটকা।
কী কী কারণে ঘাড়ে ব্যথা হয়?
১। এক টানা অনেক ক্ষণ চেয়ারে বসে কাজ করলে
২। ঘুমনোর সময় বাজে ভাবে শোওয়ার জন্য
৩। অতিরিক্ত স্ট্রেস
৪। হঠাত্ খিঁচ ধরলে
প্রচন্ড ব্যথা হলে কী করবেন-
১। আদা- ঘাড়ের শিরা ফুলে গিয়ে যন্ত্রণা হয়। আদার রস, আদা চা খেলে ফোলা কমে ব্যথা জলদি উপশম হবে। অফিস থেকে বাড়ি ফিরে খেয়ে নিন আদার রস। ঘাড় রিল্যাক্স হয়ে আরাম পাবেন।
২। আর্নিকা- ব্যথা কমাতে যে আর্নিকা কতটা উপকারী তা অল্প বিস্তর আমরা সকলেই জানি। টাটকা আর্নিকা পাতার রস থেকে তৈরি করা হয় এই ওষুধ। ব্যথা কমানো, স্টিফ হয়ে যাওয়া ঘাড় থেকে আরাম পেতে আর্নিকা খুবই উপকারী।
৩। মেন্থল ও কর্পূর- ব্যথা জায়গায় মেন্থল ও কর্পূর এক সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। ঘাড়ের পেশি শিথিল হয়ে ঠান্ডা অনুভূতি হবে। আরাম পাবেন।
৪। ল্যাভেন্ডার- বহু প্রাচীন কাল থেকেই ব্যথা কমানোর কাজে ল্যাভেন্ডার ব্যবহার করা হয়ে এসেছে। ল্যাভেন্ডার অয়েল কিনে বাড়িতে রাখুন। ঘাড়ে ব্যথা হলে ল্যাভেন্ডার অয়েল লাগান। আরাম পাবেন।
৫। স্নান- হালকা গরম জলে সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে চার-পাঁচ মিনিট স্নান করুন। স্নান করার সময় ঘাড় নাড়াচাড়া করবেন না। আস্তে আস্তে স্টিফ ঘাড় ঠিক হয়ে যাবে।
৬। আইস প্যাক- ঘাড়ের ব্যথা যদি অসহ্য হয়ে ওঠে তাহলে আইস প্যাক চাপা দিয়ে রাখুন। সঙ্গে সঙ্গে আরাম পাবেন।
৭। হিটিং প্যাড- ঘাড়ের উপর হিটিং প্যাড চেপে রাখুন। রক্ত সঞ্চালন বেড়ে ঘাড়ে ব্যথা কমবে।
রোজ যেগুলো করলে ঘাড়ে ব্যথা থেকে রেহাই পাবেন-
১। ম্যাগনেশিয়াম ট্যাবলেট- রোজ ব্রেকফাস্টে একটা করে ম্যাগনেশিয়াম ট্যাবলেট খান।
২। ঘুম- ঘুমনোর সময় খেয়াল রাখবেন যেন শোয়ার ধরন ঠিক থাকে। ভুলভাল ভঙ্গিমায় শোয়ার জন্য ঘাড় ব্যথা হয়। অনেক বালিশ নিয়ে ঘুমোবেন না।
৩। ব্রেক- অফিসে কাজ করতে করতে যখনই স্ট্রেস লাগবে পাঁচ মিনিট ব্রেক নিয়ে হেঁটে আসুন।
৪। ড্রাইভিং- এক টানা অনেক ক্ষণ ড্রাইভ করবেন না।
৫। স্ট্রেস- যতটা সম্ভভ নিজেকে স্ট্রেসমুক্ত রাখুন। স্ট্রেস বাড়লে ঘুম কম হবে, ক্লান্তি থেকে ঘাড়ে ব্যথা হবে।
৬। শরীরচর্চা- রোজ ঘুম থেকে উঠে ঘাড়ের হালকা ব্যায়াম করুন। তাহলে ঘাড় সচল থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy