প্রতীকী ছবি।
বয়স বাড়লেই বেশির ভাগ মানুষেরই শুরু হয় বাতের ব্যথা। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই বয়সের সীমা ৪০, এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণত ৫০-এর কাছাকাছি। বাতের ব্যথা আসলে কী? কেনই বা একটা বয়সের পরে শুরু হয় এই ব্যথা? প্রথমে এক ঝলকে জেনে নেওয়া যাক এই সমস্ত খুঁটিনাটি।
বাতের বৃত্তান্ত:
অস্থিসন্ধিতে কার্টিলেজের ক্ষয়ের ফলে বাতের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা শুরু হয়। সাদা রাবারের মতো এই কার্টিলেজের উপস্থিতি অস্থিসন্ধিতে দুটি হাড়ের মধ্যে ঘর্ষণ কমায়। তাই এর ক্ষয়ের পর শুরু হয় হাড়ের ক্ষয়, যার পরের ধাপই হল বাতের ব্যথা। মূলত দু’ ধরণের বাত বেশি দেখা যায়— অস্টিও আর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস। এর মধ্যে ভারতবর্ষে বেশি হয় প্রথম ধরণের বাত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন শরীরচর্চা ও পরিশ্রমের অভাব, অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া প্রভৃতি কারণে এই বাতের আধিক্য আমাদের দেশে। এ ছাড়া ওজন বেশি থাকলে বাতের ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। চিকিৎসকদের মতে কোনও ওষুধেই বাতের ব্যথা সম্পূর্ণ সারে না। ওষুধ ছাড়া বেশ কিছু উপায়ে বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, দেখে নিন সেগুলি কী কী—
বাতের ব্যথা কমানোর উপায়:
১) বাতের ব্যথা বাড়ার একটি প্রধাণ কারণ শরীরে ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামের ঘা়টতি। ফলে নিয়মিত এই দুটি উপাদান বেশি পরিমাণে নিলে বাত আগেই আটকানো যেতে পারে।
২) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন পরিকল্পিত, নিয়ন্ত্রিত এবং ডাক্তারের পরামর্শ মাফিক খাওয়া-দাওয়া। ওজন কম থাকলে হাড়ের ওপর চাপ বেশি পড়বে না, ফলে বাত থাকলেও ব্যথা প্রতিরোধ করা যাবে অনেকটাই।
৩) নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। এর ফলে হাড়ের জয়েন্ট সক্রিয় থাকবে, তাই ব্যথা রাখা যাবে নিয়ন্ত্রণে।
৪) ফিজিওথেরাপি করান নিয়ম করে। ফিজিওথেরাপি আপনার দেহে রক্ত চলাচল বাড়াবে যা হাঁটুতে প্রদাহের ফলে বাধাপ্রাপ্ত হয় মাঝেমাঝে। এর ফলে আপনার হাড়ের জয়েন্টের সচলতাও বাড়বে।
৫) সাঁতার ব্যথা কমানোর ভীষণ ভাল দাওয়াই। নিয়মিত সাঁতার কাটলে পেশিতে চাপ কমে যায়, দেহে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গবেষণা বলছে হাঁটু ও নিতম্বের জোরও বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy