কেউ কঠিন কাজ চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেন, কারও আবার তাতেই ভয়। আপনি কি দ্বিতীয় দলে পড়েন? তা হলে নিশ্চই জানবেন, কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তা ভয়ভীতি যতই থাক, তা এড়ানোর উপায় কিন্তু নেই। কাজ যখন করতেই হবে, তখন আগে থেকে বেশি না ভেবে কিছু বদল আনতে পারেন ভাবনা এবং কৌশলে।
দৃষ্টিভঙ্গির বদল: কাজটা করতে হবে, কী করে করব, তা নিয়ে বুক দুরুদুরু? তা হলে বরং ভাবুন কাজটা সাফল্যের সঙ্গে করতে পারলে কী প্রাপ্তি হবে? সকলের সামনে প্রশংসা জুটতে পারে, প্রোমোশনে সাহায্যও হতে পারে। আবার কাজ করতে গিয়ে অভিজ্ঞতাও বাড়বে। নেতিবাচক না ভেবে ইতিবাচক মানসিকতা থেকে কাজ শুরু করলে সহজ হয়ে যাবে কঠিন বিষয়ও।
আরও পড়ুন:
অভ্যাস: যে কোন কাজ সহজ হয়ে যায় প্রতি দিন করলে। নতুন কাজ প্রথম বার করতে যদি ২ ঘণ্টা লাগে, পরের বার ততটা সময় লাগবে না। যদি একই ধরনের কাজ দিনের পর দিন করা হয়, তা হলে সহজাত দক্ষতা চলে আসে। এ ক্ষেত্রে নিজেই নিজের কাজের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারেন।
কাজকে খেলা ভাবুন: কঠিন কাজ করার এ-ও এক পদ্ধতি। খেলায় চ্যালেঞ্জ থাকে, বাধাও থাকে। সেই বাধা টপকেই এগোতে হয়। কাজটাকে সে ভাবে দেখতে পারেন। খেলায় জিতলে পুরস্কারপ্রাপ্তিও হয়। কাজের প্রথম ধাপ শেষ করার জন্য নিজেকে সময় বেঁধে দিন। তাতে সফল হলে পুরস্কৃত করুন নিজেকে। এ ক্ষেত্রে পছন্দের কোনও খাবার খেতে পারেন, পছন্দের কোনও কাজ বাড়তি সময় নিয়ে করতে পারেন।
উন্নতির ভাবনা: কাজ করতে গিয়ে বিরক্তি, ক্লান্তি আসতেই পারে। পরিশ্রমের পর আশানুরূপ ফল না মিললে হতাশাও গ্রাস করে। তবে, ভুল থেকে শিখতে পারছেন এ ভাবেও ভাবতে পারেন। আজকের পরিশ্রমের ফল ভবিষ্যতে মিলবে এমন চিন্তা কাজে উৎসাহ জোগাবে।