সচিত্র পরিচয়পত্র (এপিক) নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি ফের খারিজ করেছে কেন্দ্র। প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় কক্ষত্যাগ (ওয়াকআউট) করলেন তৃণমূল সাংসদেরা। এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, “একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের নাম থাকার বিষয়টি আমরা সংসদে তুলতে চেয়েছি। আলোচনা চেয়ে একাধিক নোটিস জমা পড়েছে। তার পরেও বার বার আলোচনার দাবি খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে।”
শুধু তৃণমূল নয়, কংগ্রেস, বিজেডি-সহ ১০টি বিরোধী দল এপিক নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এর আগেও এক বার এই সংক্রান্ত আলোচনায় কেন্দ্র সায় না-দেওয়ায় বিক্ষোভে শামিল হয় তৃণমূল-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি। কক্ষত্যাগ করেন তৃণমূল এবং বিজেডির সাংসদেরা।
বৃহস্পতিবার চলতি বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন। তার আগে এপিক নিয়ে কেন্দ্রের শাসকদলকে চেপে ধরতে চায় বিরোধী দলগুলি। সেই কৌশলের অঙ্গ হিসাবেই মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চেয়েছিল তারা। তবে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর আগে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এ কথাও জানানো হয়েছিল যে, তিনি স্বল্পমেয়াদি আলোচনার ধারায় বিষয়টি নিয়ে আসুন। সে ক্ষেত্রে ‘এপিক’ শব্দটি নিয়ে যদি আপত্তি থাকে, তা হলে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনকে বিষয়বস্তু করেও আলোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইঙ্গিত, এই নিয়ে আলোচনায় যেতে রাজি নয় সরকার।
একই নম্বরে একাধিক ভোটার রয়েছেন, এমন অভিযোগ প্রথম প্রকাশ্যে আনেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় ভিন্রাজ্যের ভোটারদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের তির ছিল নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপির দিকে। কমিশনের রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে স্মারকলিপি জমা দেয় তৃণমূল।
এপিক বিতর্ক যখন তুঙ্গে, সেই সময় কমিশন জানায়, ‘ডুপ্লিকেট’ এপিক নম্বরের সমস্যা সমাধান করা হবে। ‘ডুপ্লিকেট’ এপিক নম্বরের ভোটারদের ইউনিক এপিক নম্বর দেবে কমিশন। ভবিষ্যতে সকল ভোটারের জন্যই ইউনিক এপিক নম্বর পদ্ধতি চালু করা হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যেই প্রাথমিক কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।