রাগ বশে আনবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
কথায় কথায় রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে খারাপ কথা বলে তার পর আফসোস করতে হয়? তা হলে এ বার একটু সতর্ক হোন। অনেক সময় রাগের কারণে আপনার কর্মজীবনেও প্রভাব পড়ে। মাত্রাতিরিক্ত রাগে শুধু সম্পর্ক নয়, খারাপ হয় শরীরও। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেনে চলতে পারেন কিছু টোটকা।
স্পষ্ট কথায় কষ্ট নেই: যদি কাছের কোনও মানুষের উপর রাগ হয়, তবে তাঁকে খুলে বলুন আপনার মানসিক টানাপড়েনের কথা। রাগ পুষে রাখলে কষ্ট বাড়ে। সঙ্গে বেড়ে যায় রাগের মাত্রাও। মন খুলে কথা বললে কিন্তু রাগ অনেকটাই বশে রাখা সম্ভব।
লিখে রাখুন: এক বার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলে অনেকেই দীর্ঘ ক্ষণ অন্য কোনও কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন না। এমন সমস্যায় নিজের মনের কথা লিখে রাখার অভ্যাস করতে পারেন। রাগ-দুঃখ-অভিমান নিয়ম করে ডায়েরিতে লিখে রাখলে নিজের মন বুঝে ওঠা সহজ হয়।
সহ্যের মাত্রা: কোন পরিস্থিতিতে গিয়ে হঠাৎ রেগে যাচ্ছেন, তা বোঝার চেষ্টা করুন। মনোবিদদের ভাষায়, এই জায়গাগুলিকে বলা হয় ‘ট্রিগার পয়েন্ট’। কোনও কোনও বিষয় সহ্য করা সম্ভব হয় না। তেমন পরিস্থিতিতে পৌঁছলে সহ্যের সীমা ছাড়ায়। রাগ হয়। এই ‘ট্রিগার পয়েন্ট’ পর্যন্ত যাতে না পৌঁছতে হয়, তাই কিছু পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন। যেই কথা শুনে রাগ হয়, সেই কথায় অংশগ্রহণ না করাই ভাল।
হাসিখুশি: মানসিক চাপ কমাতে হাসি-ঠাট্টার জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত দেখতে পারেন হাসির ছবি থেকে ব্যাঙ্গাত্মক টেলিভিশন শো বা ওয়েব সিরিজ়। পড়তে পারেন হাসির গল্পের বই। তবে অনেকে মজা করতে গিয়ে মাত্রা হারিয়ে ফেলেন। খেয়াল রাখবেন, নিজের চাপ বা রাগ কমাতে গিয়ে অন্যের অনুভূতিকে আঘাত করে ব্যঙ্গ না করাই বাঞ্ছনীয়।
মনোবিদের সাহায্য নিন: প্রয়োজন হলে সাহায্য নিন মনোবিদের। যদি কোনও ভাবেই আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে না আসে, তা হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অনেক সময় হরমোন কিংবা স্নায়ুর সমস্যা থেকেও হতে পারে মাত্রাতিরিক্ত রাগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy