গরমের দিনে শসা খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। তার কারণ, এই ফলের বেশির ভাগটাই জল। সামান্য কিছু ভিটামিন এবং খনিজও মেলে এতে।
শসা স্যালাড হিসেবে খাওয়ার চলই বেশি। টক দইয়ের সঙ্গে কুচোনো শসা, পেঁয়াজ দিয়ে রায়তাও খাওয়া হয়। কেউ কেউ শসা দিয়ে পানীয় বানান। তবে এর বাইরেও এই সব্জি দিয়ে রকমারি রান্না করা যায়।
বড়া: পেঁয়াজের পকোড়া, আলুর বড়া খেয়েছেন, কখনও শসার বড়া খেয়েছেন কি? গোল গোল করে শসা কেটে নিন। একটি পাত্রে বেসন, চালের গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন, লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে ফেটিয়ে নিন। মিশ্রণটি খুব পাতলা বা ঘন হবে না। এবার শসার টুকরো বেসনে চুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে ফেলুন।
পালিসারি: নারকেলের দুধ দিয়ে তৈরি এই পদটি দক্ষিণ ভারতে খাওয়ার চল রয়েছে। এর সঙ্গে যোগ করা যায় শসা। গরমে একঘেয়ে তরকারি বা সব্জিতে যদি অরুচি হয়ে থাকে, এই রান্নাটিও করে দেখতে পারেন। শসার খোসা ছাড়িয়ে বীজ বাদ দিয়ে শক্ত অংশটি টুকরো করে নুন, হলুদ, লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে অল্প জলে সেদ্ধ করে নিন। মিক্সারে টক দই, কুরিয়ে নেওয়া নারকেল, গোটা জিরে, সামান্য মেথি অল্প জল দিয়ে ঘুরিয়ে নিন। মিশ্রণটিতে যোগ করুন সেদ্ধ করতে বসানো শসার সঙ্গে। আঁচ কমিয়ে ফুটিয়ে নিন। একেবারে শেষ ধাপে সাদা তেলে শুকনো লঙ্কা, কারিপাতা, কালো সর্ষে ফোড়ন দিয়ে সেটি শসার সঙ্গে মিশিয়ে আঁচ বন্ধ করে দিন।
স্যুপ: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে শসা দিয়ে ঠান্ডা স্যুপ বানাতে পারেন। শসা, ধনেপাতা, টক দই, কাজুবাদাম, সামান্য রসুন, আদা, কাঁচালঙ্কা, পাতিলেবুর রস ও স্বাদমতো নুন দিয়ে মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন। চাইলে এতে জল বা বরফ যোগ করতে পারেন। উপর থেকে গোল করে কাটা শসা, পছন্দের বীজ ছড়িয়ে খেতে পারেন কিউকাম্বার কোল্ড স্যুপ।