দিনে দিনে চ়ড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আর্দ্রতা। এমন মরসুমে পাখার তলাতেও যেখানে স্বস্তি মেলে না, সেখানে আগুনের তাতে রান্না করা, হেঁশেলের কাজকর্ম করা মোটেই সহজ কথা নয়।
তবে কিছু কিছু যন্ত্র, কৌশল কমিয়ে দিতে পারে হেঁশেলের ঝক্কি। সহজ উপায়েই হতে পারে সমাধান। কোন উপায়ে গরমে হেঁশেলে থাকার সময় কমানো যাবে?
এয়ার ফ্রায়ার: এয়ার ফ্রায়ারে খুব উত্তপ্ত হাওয়া খুব জোর গতিতে ঘোরে। তাতেই ভাজা থেকে সেঁকা হয়ে যায়। আলু হোক বা কাঁচকলা, করলা কিংবা ঢেঁড়স বিনা ঝক্কিতে স্বল্প তেলে ভেজে ফেলা যায়। এয়ার ফ্রায়ারে যেহতু সময় নির্দিষ্ট করা যায়, তাই খাবার পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
মাইক্রোওয়েভ অভেন: শুধু খাবার গরম করার জন্যই নয়, ডিপ ফ্রিজে রাখা জমাট বাঁধা মাছ, মাংস বা অন্য খাবারের বরফ সহজে গলানো যায় মাইক্রোওয়েভ অভেনের ‘ডিফ্রস্ট’ মোডে। ডালসেদ্ধ থেকে আলুভাতেও করে ফেলা যায় সময় সেট করেই। গরমের দিনে কিছু কিছু রান্না যদি মাইক্রোওয়েভ অভেনে করে ফেলা যায়, তা হলেও সমাধান হতে পারে।
আরও পড়ুন:
বরফের ট্রে: লেবুর রস নুন এবং চিনির সঙ্গে মিশিয়ে অল্প যোগ করে বরফের মতো জমিয়ে নিন। কখনও শরবত খেতে ইচ্ছা হলে জলে কয়েক টুকরো এমন বরফ দিলেই হয়ে যাবে। একই ভাবে মুরগির মাংস সেদ্ধ করা জল বা সব্জি সেদ্ধ করা জল বরফের মতো জমিয়ে রাখতে পারেন। রান্নায় তা ব্যবহার করলে স্বাদ বাড়বে।
চপার: রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে এক এক করে সব্জি কুচিয়ে নেওয়া বা টুকরো করাও কখনও কখনও ক্লান্তির হয়ে ওঠে। সমস্যার সমাধান হতে পারে চপারে। হাতের সাহায্যে দড়ি টেনেও যেমন সব্জি কুচোনো যায়, তেমনই বৈদ্যুতিক চপারও হয়। এই যন্ত্র নিমেষে সব্জি কুচিয়ে দেবে।
ব্লেন্ডার: ঠান্ডা কফি হোক বা লস্যি, স্মুদি কিংবা স্যুপ— কাজ সহজ করে দিতে পারে বৈদ্যুতিক ব্লেন্ডার। রান্নায় মসৃণ, ঘন কাই চাইলে ভেজে নেওয়া পেঁয়াজ, আদা, রসুন, টম্যাটো ব্লেন্ডারে দিয়ে মিশিয়ে নিতে পারেন।