শ্বেতার মতো বয়স ধরে রাখতে চান? মেনে চলুন কিছু নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স চল্লিশ পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁকে দেখে বোঝার জো নেই! তাঁর চেহারার জৌলুস এবং ব্যক্তিত্বের গ্ল্যামারের কাছে হার মেনেছে বয়সও। শরীরের কোথাও এতটুকু মেদ জমেনি, ত্বকে বলিরেখার ছাপটুকুও নেই। ৪৩ বছরেও যেন তরুণী টিভি তারকা শ্বেতা তিওয়ারি। তাঁর টান টান চেহারা সকলের কাছেই ঈর্ষণীয়। চল্লিশ পার করেও একই রকম উচ্ছ্বল ও চনমনে। শরীরের পাশাপাশি মনেরও খেয়াল রাখেন। তাঁর ডায়েট এবং শরীরচর্চার রুটিন কী, তা নিয়ে এই প্রথম মুখ খুলেছেন টিভি তারকা। শ্বেতার জানিয়েছেন, রোজকার জীবন যাপনে কিছু নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করলেই চেহারা চট করে বার্ধক্যের ছাপ পড়বে না।
যৌবন ধরে রাখতে চারদিকে বিভিন্ন রকম সার্জারি, ওযুধ, সাপ্লিমেন্ট আর থেরাপির প্রয়োগ হচ্ছে। তবে শ্বেতার দাবি, তিনি এ সবের ধার ধারেননি। জীবনযাপনে সংযম, নিয়মিত শরীরচর্চা ও সুষম ডায়েটেই চেহারায় তারুণ্য ধরে রেখেছেন তিনি। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখেন। শ্বেতার কথায়, শরীরের পাশাপাশি মনও যদি ভাল থাকে, তা হলে চেহারায় সেই ছাপ পড়ে। চোখমুখে আলাদাই দীপ্তি থাকে।
বয়স ধরে রাখতে কী কী করেন শ্বেতা? অভিনেত্রীর কথায়, ত্বকের যত্ন নিয়মিত নেন। প্রতি দিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়শ্চারাইজ়িং করেন। শুটিংয়ের চাপ যতই থাক, কোনও দিনও ত্বকের পরিচর্যা বাদ যায়নি তাঁর। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে মাখেন মুলতানি মাটি। হলুদ আর দুধের ফেসপ্যাক তাঁর ত্বককে উজ্জ্বল আর কোমল রাখে। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মি ত্বকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। তাই প্রত্যেক দিন সকালে সানস্ক্রিন লোশন লাগানোর অভ্যাস আছে তাঁর। আয়ুর্বেদিক বিভিন্ন তেলের উপরেও ভরসা রাখেন তিনি।
প্রতি দিন পর্যাপ্ত জল ও ফলের রস খান শ্বেতা। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলেই অনেক ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায়। কিন্তু এই সহজ নিয়মটাই সে ভাবে মেনে চলেন না অনেকে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না গেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তখন বাইরে থেকে ময়েশ্চারাইজ়ার লাগালেও ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরা পড়বে না। এতেই বলিরেখা এবং অন্য দাগ-ছোপ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাবে।
যোগাসন বা নিয়মিত শরীরচর্চা করা সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। সেই কাজটাই নিয়ম করে করেন শ্বেতা। তাঁর কথায়, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে যাবতীয় প্রয়োজনীয় হরমোনের ক্ষরণ ঠিক থাকবে এবং রক্ত চলাচলও বাড়বে। চেহারা অনেক বেশি প্রাণোচ্ছল ও সতেজ থাকবে। শরীরের ক্লান্তির ছাপ সকলের আগে চেহারায় পড়ে। তাই সুস্থ থাকতে সময় মতো ঘুমের প্রয়োজন। শ্বেতা জানাচ্ছেন, দিনে ৭-৮ ঘণ্টা টানা ঘুমোলে শরীরও সুস্থ থাকবে, চেহারাও ঝলমল করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy