Advertisement
E-Paper

মানুষের মতো হৃদ্‌রোগ হতে পারে কুকুরেরও! কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন পোষ্যের হার্ট ভাল নেই

হার্ট ফেলিয়োর বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় কুকুরদেরও। মানুষের মতোই হার্টের সমস্যা হতে পারে। এর কারণ কী?জেনে নিন, পশু চিকিৎসক কী বলছেন।

What Are Common Signs of Heart Disease in Dogs

আদরের পোষ্যের হার্টের রোগ হচ্ছে না তো? ছবি: ফ্রিপিক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:১৩
Share
Save

মানুষের মতো পোষা কুকুর বা বিড়ালের যেমন ডায়াবিটিস হতে পারে, তেমনই হার্টের সমস্যাও হয়। খেয়াল করতে হবে, পোষ্যের ব্যবহারে কিছু বদল আসছে কি না। তা ছাড়া বাহ্যিক কিছু লক্ষণও দেখা দেয়। মনে হতেই পারে, মানুষের যেমন দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপ, প্রবল মানসিক চাপ, ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাস হার্টের অসুখের কারণ হয়ে ওঠে, পোষ্যদের ক্ষেত্রে তো তেমন খুব একটা হয় না। যথেষ্টই আদর-যত্নে রাখা হয় পোষ্য কুকুরদের। কিন্তু তা-ও দেখা যায়, হার্ট ফেলিয়োর বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় কুকুরদেরও। এর কারণ কী?

এই বিষয়ে পশুচিকিৎসক সবুজ রায় বলছেন, “পোষ্য কুকুরদেরও শরীরচর্চা জরুরি। খাবার দিতে হয় পরিমিত। আপনি যা খাচ্ছেন, পোষ্যকে সে খাবার দিলে হবে না। কী প্রজাতির কুকুর, সেই বুঝে তার বিশেষ ডায়েটও জরুরি। চিকিৎসকের থেকে জেনে ডায়েট ঠিক করতে হয়। নিয়ম মেনে না চললে ওদেরও শরীর দুর্বল হতে থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তখন হৃদ্‌রোগ বাসা বাঁধতে পারে।”

কী কী লক্ষণ দেখা দেয়?

প্রচণ্ড ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেবে। পশুচিকিৎসক জানাচ্ছেন, কুকুরদের ঘর্মগ্রন্থি থাকে না। তাই জিভ বার করে লালা নিঃসরণের মাধ্যমেই শরীর ঠান্ডা করে তারা। যদি কোনও কারণে পোষ্য অসুস্থ হয় বা হার্টের সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হাঁপাবে তারা। শ্বাস নিতে সমস্যা হবে। শ্বাসপ্রশ্বাসের হার আচমকা বেড়ে যাবে। ঘন ঘন শ্বাস টানতে থাকবে। এই সব লক্ষণ দেখলেই পশুচিকিৎসকের কাছে দ্রুত নিয়ে যেতে হবে।

বয়সজনিত কারণেও হার্টের সমস্যা হতে পারে কুকুরদের। সবুজ বলছেন, বয়স হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ওই সময়ে হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে। তখন প্রচণ্ড ঝিমিয়ে পড়বে পোষ্য, খেতে চাইবে না। হাঁটাচলা করতে পারবে না। তা ছাড়া আরও একটি কারণে হার্টের রোগ হতে পারে কুকুরদের। তা হল— পরজীবীর সংক্রমণ। কয়েক রকম পরজীবী কুকুরদের রক্তে জন্মায়। এই পরজীবীদের কারণে লসিকাগ্রন্থিগুলি ফুলে যায়। পেটের গোলমাল, বমি, লিভারের সমস্যা হতে পারে। পরজীবী ঘটিত রোগকে বলা হয় ‘হিমোপ্রোটোজ়োয়া’। তাড়াতাড়ি এর চিকিৎসা হওয়া জরুরি।

মানুষের মতো কুকুরদেরও চেস্ট এক্স-রে, ইলেক্ট্রোকার্ডিয়োগ্রাম, ইকোকার্ডিয়োগ্রাম ও রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে হার্টের রোগ ধরা পড়তে পারে। তাই সময়ান্তরে নিয়ম করে পোষ্য কুকুরদের চেকআপ করাতেই হবে।

heart disease Pet Care Pet Care Tips Heart Health

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}