ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা অনেককেই ভোগায়। প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন মহিলা এই সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের কাছে মাসের ওই কয়েকটা দিন দুঃস্বপ্নের মতো। হটব্যাগ, প্যারাসিটামল বা অন্য কোনও ব্যাথানাশক ওষুধ খেয়ে ভীষণ কষ্টদায়ক সমস্যাকে জোর করে চেপে রাখার চেষ্টা চলে। ওই সব ওষুধ শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। সাম্প্রতিক সময়ে ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা কমানোর কয়েকটি ব্যথানাশক ওষুধের বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
যন্ত্রণাদায়ক ঋতুস্রাবের নানা কারণ থাকতে পারে। একটি হল প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া। হরমোনের ওঠানামা, জরায়ুর সঙ্কোচনের কারণে পেট, তলপেট, কোমরে অসহ্য যন্ত্রণা হতে থাকে। শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতেও ব্যথা শুরু হয়। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা পিসিওএস থাকলেও ঋতুস্রাব চলাকালীন পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। এই সময়ে ওষুধ খাওয়ার বদলে বরং বিশেষ একরকম চা খেলে ব্যথা কমতে পারে।
‘কসমেটিক্স’ নামক জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, গাঁদাফুলের পাপড়ি দিয়ে বানানো চা খেলে ঋতুস্রাবের যন্ত্রণার উপশম হতে পারে। কেবল ব্যথানাশ নয়, ত্বকের জেল্লা ফেরাতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও নাকি উপকারী এই চা। গাঁদাফুলের চায়ে এমন অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে যা প্রদাহ নাশ করতে পারে। যে কোনও ব্যথাবেদনা, মানসিক চাপও নাকি কমাতে পারে এই চা।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ
১ থেকে ২ চামচ গাঁদাফুলের শুকনো পাপড়ি
১ কাপ জল
১ চামচ লেবুর রস বা মধু
দারচিনি, আদা অথবা পুদিনা
প্রণালী
গাঁদাফুলের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এ বার জল গরম করে তাতে আদা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। গ্যাস কমিয়ে পাপড়ি গুলি দিয়ে অল্প করে ফুটিয়ে নিয়ে ঢাকা দিয়ে তা রেখে দিন মিনিট দশেক। চা ছেঁকে নিয়ে তাতে লেবুর রস বা মধু মিশিয়ে নিন। উপর থেকে দারচিনির গুঁড়ো বা পুদিনা পাতা ছড়িয়ে দিন।
এই চা দুপুরে খাওয়ার পরে খেলে হজম ভাল হবে। গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও কমবে। তবে অন্তঃসত্ত্বারা এই চা খাবেন না। হার্টের রোগ বা কিডনির সমস্যা থাকলে এই চা খাবেন কি না, তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।