পুজোয় বেড়াতে যাওয়ার আগে বাড়ির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।-ছবি: শাটারস্টক।
পুজোর ছুটি আর শহুরে ভিড়ভাট্টা এই দুই-ই যদি কারণ হয়, ফলাফল তবে ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়া। ছোটবেলায় ইংরেজি বইয়ের ‘কজ’আর ‘এফেক্ট’-এর মতোই অব্যর্থ। পুজোয় বেড়াতে যাবেন, সে না হয় বুঝলাম, কিন্তু বাড়ির কথা ভেবেছেন কি? আজকাল বেশির ভাগ নিউক্লিয়ার পরিবার। কাজেই সপরিবার বেড়াতে যাওয়াই দস্তুর।
কিন্তু এই যে সকলে মিলে সমুদ্র বা পাহাড়েসময় কাটাবেন, কিংবা জঙ্গুলে সফরকে ধরে রাখবেন স্মৃতির খাতায়— সে সময় আপনার বাড়ি নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তা থাকবে না তো? বাড়িকে কী ভাবে সুরক্ষিত রাখবেন তার জন্য রইল কিছু জরুরি টিপস।
কখনওই বেড়াতে যাওয়ার খবর সোশ্যাল সাইটে দেবেন না। এই ভুল আমরা প্রায়ই করি। সম্প্রতি বেশ কিছু ইনসিওরেন্স কোম্পানি বেড়াতে যাওয়ার খবর সোশ্যাল সাইটে জানিয়ে তার পর বিপদে পড়লে বিমার টাকা ফেরত দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা এনেছেন।
আরও পড়ুন: বয়স্কদের ঘর দিয়ে শুরু হোক সেজে ওঠার পালা
খুব ঘনিষ্ঠ মহল ছাড়া বেড়ানোর খবর দেওয়ার দরকার নেই। বরং ফিরে এসে মজা করে ছবি দেখান সকলকে।
পরিবারের সকলে মিলে বেড়াতে যাচ্ছেন? তা হলে অবশ্যই বাড়িতে বহাল করুন পাহারা। সিকিউরিটি সংস্থার সাহায্য নিলে তার আই ডি কার্ড, ছবি জমা দিন স্থানীয় থানায়।
চেষ্টা করুন খুব ঘনিষ্ঠ কোনও আত্মীয়, বন্ধু বা প্রতিবেশীকে ওই ক’দিন বাড়িতে রেখে যেতে।
আরও পড়ুন: অজানা উৎসের উৎসারিত আলোতে সেজে উঠুক ঘর
যদি একান্ত তা না জোটে
কোনও ভাবে কাউকে না রাখতে পারেন বাড়িতে, তা হলে বাড়ির দরজা-জানলায় কোনও ফাঁক-ফোকর থাকলে তা মেরামত করান বেড়াতে যাওয়ার আগেই।
সব ক’টি দরজায় লাগান মজবুত তালা। লোহার গ্রিল না থাকলে বেড়াতে যাওয়ার আগে সেটাও তৈরি করে নিন।
অবশ্যই বাড়ির উপর নজর রাখতে বলুন প্রতিবেশীকে।
দূরে বসে আপনিও নজর রাখতে পারেন, যদি বাড়িতেই লাগান ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। আজকাল মোবাইলের মাধ্যমেই এই সব ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো যায়। বেড়াতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই উঁকি মারুন বাড়ির ক্যামেরায়। বিপদ বুঝলেই যোগাযোগ করুন স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে।
স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের নম্বর রেখে দিন মোবাইলে। বেড়াতে বেরনোর আগে ক’দিন থাকবেন না, কখন বেরবেন, কখন ফিরবেন সবটা জানিয়ে যান থানায়।
এই সব মেনে চললেই আপনার ফাঁকা বাড়ি থাকবে সুরক্ষিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy