গরমে রান্নাঘরে বেশি ক্ষণ সময় কাটানোর দরকার নেই। ছবি: সংগৃহীত।
শীত হোক কিংবা গ্রীষ্ম— ছুটি নেই বাড়ির কর্ত্রীদের। হেঁশেল সামলানোর দায়িত্ব তাঁদের বারো মাসের। শীতে কাঁপতে কাঁপতে খুন্তি নাড়তে হয়। আবার গরমে ঘেমেনেয়ে স্নান করেও মাছের ঝোল রাঁধতে হয়। অসহনীয় গরমে গ্যাসের সামনে দাঁড়িয়ে রান্না করার কষ্ট দূর থেকে বোঝার নয়। যাঁরা কাজটি করেন, একমাত্র তাঁরাই মর্মে মর্মে অনুভব করেন। তবে একটু বুদ্ধি খাটালেই কিন্তু এই গরমে রান্নাঘরে বেশি সময় কাটাতে হবে না। পরিশ্রমও অনেকটা কম হবে।
সকাল সকাল রান্না সেরে নিন
রোদ তেতে ওঠার আগেই রান্না পাট চুকিয়ে ফেলুন। সে ক্ষেত্রে সকাল সকাল হেঁশেলে ঢুকে যান। হাত চালিয়ে দ্রুত রান্না করে ফেলুন। দিন যত গড়াতে থাকে, গরমও তত বাড়ে। রান্নাঘর তখন আগুনের বলয় মনে হতে পারে। তাই রোদের তীব্রতা বৃদ্ধির আগেই রান্নাঘরের দরজা বন্ধ করে দিন।
সহজ রান্না করুন
কম সময়ে রান্না করা যায় আবার স্বাস্থ্যকরও, তেমন কিছু রান্না করেন। সহজ রান্না করতে সময় কম লাগবে। সে ক্ষেত্রে বেশি ক্ষণ হেঁশেলে থাকতে হবে না। তাড়াতাড়ি কাজও সেরে নিতে পারবেন।
কম পদ রাঁধুন
গরমে এমনিতে খাওয়াদাওয়ার উপর একটা অনীহা তৈরি হয়। তাই বেশি পদে রান্না করে লাভও নেই। বরং এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাজনক হল ‘ওয়ান পট মিল’। তবে তা না হলেও বেশি রান্না করার প্রয়োজন নেই।
রাতে কাজ এগিয়ে রাখুন
মশলা বেটে রাখা, শাকসব্জি কাটা কিংবা অন্যান্য কাজগুলি আগের দিন রাতেই সেরে রাখুন। তা হলে সময় অনেকটাই বাঁচবে। তাড়াহুড়োও কম হবে। রান্নাও তাড়াতাড়ি হবে। বেশি ক্ষণ এই গরমে বদ্ধ হেঁশেলে আটকে থাকতে হবে না।
এক্সহস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখুন
রান্না করতে হেঁশেলে ঢোকা মাত্রেই এক্সহস্ট ফ্যানটি চালু করে দিন। তাতে স্বস্তি না পেলেও অস্বস্তি বাড়বে না। রান্নার ধোঁয়া, মশলার ঝাঁজ, আগুনের তাপ সব কিছু থাকবে, তবে এই ফ্যানের হাওয়া সে সব গায়ে মাখতে দেবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy