ঘরের গুমোট গন্ধ কাটবে কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
এই রোদ, তো এই বৃষ্টি! বাড়িতে থাকলে সে খেয়াল রাখা যায়। বৃষ্টি আসতে দেখলেই ছাদ থেকে জামাকাপড় তুলে আনা যায়। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকলে তো মুশকিল। যখন-তখন বৃষ্টি আসছে বলে কাজে বেরোনোর সময় জানলা-দরজা বন্ধ করে রাখতে হয়। অনেকে আবার ভেজা পোশাক ঘরের মধ্যেই মেলে রাখেন। ফিরে এসে ঘরের দরজা খুলতেই নাকে বিচ্ছিরি ভ্যাপসা গন্ধ এসে লাগে। বর্ষায় এমন গন্ধ হওয়া স্বাভাবিক। দীর্ঘ ক্ষণ ঘরে আলোবাতাস ঢুকতে না পারলেও অনেক সময়ে এমন গন্ধ হয়। ফেরা মাত্রই ঘরের জানলা-দরজা খুলে দিতেই পারেন। সঙ্গে তিন টোটকা জানা থাকলেও বর্ষায় ঘরের গুমোট গন্ধ থেকে রেহাই মিলতে পারে।
১) এসেনসিয়াল অয়েল
বর্ষার স্যাঁতসেঁতে গন্ধ এক নিমেষে উধাও হতে পারে প্রাকৃতিক এসেনশিয়াল অয়েলের গুণে। এসেনশিয়াল অয়েলের মধ্যে কোনও রকম রাসায়নিক থাকে না। ফলে ফুসফুসের কোনও রকম সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া বর্ষার মেঘ অনেক সময়ে মনের আকাশও ধূসর করে রাখে। ঘরের কোণে, পর্দায় কিংবা বিদ্যুতচালিত ডিফিউজ়ারে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার, ইউক্যালিপটাস বা সাইট্রাসজাতীয় এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে রাখলে ঘর এবং মনের গুমোট ভাব কাটে।
২) পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
বর্ষায় কাঠের আসবাব কিংবা জানলা থেকেও অনেক সময়ে ভ্যাপসা গন্ধ বেরোয়। ঘরের কোণে জমা ধুলোময়লা নিয়মিত পরিষ্কার না করলেও অনেক সময়ে বিশ্রী গন্ধ বেরোয়। তা থেকে মুক্তি পেতে শুধু রুম স্প্রে ব্যবহার করলেই হবে না। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করতে হবে।
বর্ষার স্যাঁতসেঁতে গন্ধ এক নিমেষে উধাও হতে পারে প্রাকৃতিক এসেনশিয়াল অয়েলের গুণে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) বেকিং সোডা
বেকিং সোডা হল স্বাভাবিক ‘ডিয়োডরাইজ়ার’। ঘরের ভ্যাপসা গন্ধ দূর করতে এই উপাদানটিই যথেষ্ট। ছোট একটি পাত্রে বেশ অনেকটা পরিমাণে বেকিং সোডা নিন। তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে ঘরের কোণে রেখে দিলে তাতেই কাজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy