হিন্দু শাস্ত্রে তুলসীকে বলা হয় কৃষ্ণের রূপ। খ্রিষ্ট ধর্মেও তুলসীর নামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় পবিত্রতা। বলা হয় ‘হোলি বেসিল’। ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কোরানেও তুলসী গাছের নাম রয়েছে। সেখানে তাকে বলা হয়েছে ‘জন্নতি ঝাড়’। অর্থাৎ স্বর্গের গাছ। আবার আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে, তুলসীর আয়ুর্বেদিক গুণের শেষ নেই। হয়তো সেজন্যই বহু বছর ধরে ভারতীয়দের বাড়িতে তুলসী গাছ রাখার চল আছে।
পুরনো বাড়িতে তুলসী গাছের আলাদা মঞ্চ থাকত। কিন্তু এখনকার দু’কামরা বা তিন কামরার ফ্ল্যাটে সে উপায় নেই। ফলে তুলসীর ঠাঁই হয় বারান্দার টবে কিংবা জানলার ধারে সেরামিকের ছোট অস্থায়ী মঞ্চে। তবে শীতে তাদেরও বেহাল দশা। গ্রীষ্মে বা বর্ষায় যতটা ভাল থাকে তুলসী গাছ, শীতে থাকে ততটাই খারাপ। গাছ শুকিয়ে নষ্টও হয়ে যায়। ঠিক কী ভাবে যত্ন নিলে ভাল থাকবে তুলসী গাছ?
১। রোদ জরুরি: তুলসী গাছকে অন্তত ৪-৫ ঘণ্টা রোদে রেখে দেওয়া জরুরি। তাই এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে সারা দিনে অন্তত ৪-৫ ঘণ্টা ভাল রোদ থাকে। যদি তা সম্ভব না হয় তবে ‘গ্রো লাইট’ ব্যবহার করতে পারেন। গাছ ভাল রাখতে এখন অনেকেই ওই আলো ব্যবহার করছেন। অনলাইনেও কিনতে পাওয়া যায়।
২। ভাল মাটি: তুলসী মঞ্চে বা তুলসীর টবে যেন জল না জমে। উর্বর মাটির সঙ্গে টবে রাখার মাটি মিশিয়ে এমন ভাবে মাটি তৈরি করুন , যাতে জল সহজে বেরিয়ে যেতে পারে এবং সার ভাল কাজ করে।
৩। জল বুঝে দিন: জল তখনই দিন, যখন দেখবেন মাটির ১-২ ইঞ্চি পর্যন্ত শুকিয়ে গিয়েছে। শীতের তুলসীর বেশি জল লাগে না। তাই বেশি জল না দেওয়াই ভাল।
৪। প্রাকৃতিক সার: চার থেকে ছ’সপ্তাহ অন্তর এক বার অন্তত সার দিন। বাইরের সার ব্যবহার না করে কলার খোসা বা চায়ের পাতা পচিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
৫। কাটছাঁট: শুকিয়ে যাওয়া হলুদ পাতা এবং মঞ্চরি নিয়মিত ছেঁটে দিন। শুকিয়ে যাওয়া ডালপালা ছাঁটলে গাছ ভাল বাড়ে।