বাড়ির টবে বা বাগানেও দিব্যি হবে পয়েনসেটিয়া, যত্ন নেওয়ার নিয়ম শিখে নিন। ছবি: সংগৃহীত।
ফুল নয়। ফলও নয়। এই গাছের সেরা আকর্ষণ তার পাতা। পান-পাতা আকারের টকটকে লাল রঙের সুন্দর পাতাগুলিই তার বিশ্বজোড়া পরিচিতির কারণ। পুজোয় অন্দরসজ্জায় ভোল বদল চাইলে, কেবল শৌখিন শো-পিসে নয়, ঘর সাজান রঙিন পাতাবাহারে। চেনা পরিচিত বাহারি গাছগুলির থেকে এটি অনেকটাই আলাদা। মধ্য আমেরিকার বাসিন্দা এই গাছটির লাল রঙের ‘ব্র্যাক্ট’ বা পাতা দেখে সেগুলিকে ফুল বলেই মনে হয়। পাতাবাহারের এই বিশেষ প্রজাতির নাম পয়েনসেটিয়া। ঘরের টবে একটু যত্ন নিলেই লাল দ্যুতিতে ভরিয়ে দেবে ঘর।
পয়েনসেটিয়ার ফুল হয় ছোট ছোট হলুদ বা সবুজ রঙের। কিন্তু লাল পাতার ভারে সেগুলি আড়ালেই থেকে যায়। লাল রঙের পাতার জন্য এই গাছ খ্যাত হলেও গোলাপি, কমলা, সাদা এবং ক্রিম রঙের পাতাওয়ালা পয়েনসেটিয়া গাছও পাওয়া যায়। এই গাছ যে ঘরে রাখবেন, তার তাপমাত্রা হতে হবে ১৮-২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। খুব বেশি চড়া রোদে এই গাছ রাখবেন না।
মেক্সিকো ও দক্ষিণ আমেরিকার এই গাছ এখন দিব্যি জায়গা করে নিয়েছে বাঙালির অন্দরমহলেও। বাগানে, পার্কেও পয়েনসেটিয়া গাছের বেশ কদর এখন। বিশ্বে এখন প্রায় ১০০ জাতের পয়েনসেটিয়া আছে। সাদা রঙে পাতাবাহারও তৈরি হচ্ছে হাইব্রিড পদ্ধতিতে।
গুল্ম প্রকৃতির গাছ, বড়জোর ২ থেকে ৩ মিটার লম্বা হয়। ঈষৎ ঝুরঝুরে মাটিই এর পক্ষে আদর্শ কারণ এই ধরনের মাটি তাড়াতাড়ি জল শুষে নিতে পারে। টবে বা বাগানের মাটিতে পয়েনসেটিয়া করলে খেয়াল রাখতে হবে যে বেশি জল যেন না জমে থাকে গাছের গোড়ায়। সপ্তাহে দু’দিন এই গাছে জল দিলেই হবে।
গাছকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতি মাসে একবার করে ঝরে পরা পাতা এবং শিকড় ছেঁটে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। খুব বেশি চড়া রোদে না রাখলেও দিনের কিছুটা সময়ে সূর্যালোকে রাখতেই হবে এই গাছকে। সবচেয়ে ভাল হয় দক্ষিণ-পশ্চিম বা পশ্চিমের জানলায় এই গাছ রাখলে। যে কোনও অনলাইন নার্সারিতে এই গাছের চারা কিনতে পারবেন। তবে যে ধরনের পয়েনসেটিয়া কিনবেন, সেই অনুযায়ী তার দেখাশোনার ব্যবস্থা করতে হবে। গাছটির জন্য কেমন সার ও মাটি লাগবে তা জেনে নিতে ভুলবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy