খুদের জন্য বার্গার হোক বা স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের তালিকায় থাকা স্যালাড, লেটুসের প্রয়োজন এখন বাঙালি হেঁশেলে মাঝেমধ্যেই পড়ে। দেশ-বিদেশি খাবারের প্রতি আকর্ষণ, উৎসাহ যত বাড়ছে, ততই লেটুসের কদরও বাড়ছে বাংলার হেঁশেলে। বাজার থেকে টাটকা পাতা কিনে আনাই যায়। তবে ঘরের বাগানে থাকলে, সেই ঝক্কিও আর থাকে না। জেনে নিন, বাড়িতে কী ভাবে চারা থেকে গাছ বড় করবেন।
টব: চারাগাছের জন্য ছোট টব ব্যবহার করা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে সেটিকে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য টবে স্থানান্তরিত করতে হবে। তার চেয়ে প্রথম থেকে অন্তত আড়াই কেজির মতো মাটি ধরে, এমন টব বা পাত্র বেছে নিন। প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করলে জল নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ছিদ্র তৈরি করে নিতে হবে। টবের নীচের অংশে অল্প পাথর ছড়িয়ে দিয়ে তার পর মাটি দিলে, গাছের গোড়ায় চট করে জল জমবে না।
আরও পড়ুন:
মাটি: গাছ প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ করে মাটি থেকে। ফলে শুরু থেকেই মাটির প্রস্তুতিতে জোর দেওয়া দরকার। ৭০ ভাগ সাধারণ মাটির সঙ্গে ৩০ ভাগ কম্পোস্ট সার বা জৈব সার দিতে পারেন। দোআঁশ বা বেলে মাটি এই গাছের জন্য ভাল।
জল: এই গাছের জন্য হালকা আর্দ্র মাটি প্রয়োজন। তবে গাছের গোড়ায় জল জমলে ক্ষতি হবে। ফলে মাটি দিতে হবে খুব বুঝে। গরমের দিনে লেটুস চাষ করলে জল দিতে হবে দু’বার, সকাল এবং বিকেলে। শীতে জলের পরিমাণ কমবে, প্রয়োজনে এক বেলা দিলেও হবে। তবে টবের জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা উপযুক্ত না হলে সমস্যা হবে।
তাপমাত্রা: শীতের মরসুম এই গাছের জন্য ভাল। তবে গরমেও এই গাছ বাঁচে। চারা রোপণের পর চড়া রোদে গাছ রাখলে চলবে না। গরমের দিনে গাছ এমন কোথাও রাখতে হবে যেখানে সকাল-বিকেল রোদ এলেও, দুপুরে ছায়া থাকবে। কোনও একটি গাছের ছায়ার নীচে বা অন্য কোথাও এটিকে রাখতে হবে।
ফলন: চারা রোপণের দশ দিনের মধ্যেই গাছের পাতা বড় হতে শুরু করবে। পোকার আক্রমণ না হলে, জল-হাওয়ার শর্ত পূরণ হলে এক মাসের মধ্যে টব ভর্তি টাটকা পাতা পাওয়া যাবে। গাছের গোড়া থেকে প্রয়োজন মতো পাতা কেটে নিলেই হবে। চারা বসানোর সময় মাটিতে কম্পোস্ট সার দেওয়া থাকলে পরে আর দেওয়ার দরকার নেই। তবে গাছ বেড়ে উঠলে, প্রয়োজন মনে হলে চা পাতা ধুয়ে গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। এটি সারের কাজ করবে।