জন্মাষ্টমীতে কী ভাবে ঘর সাজাবেন? —প্রতীকী ছবি।
জন্মাষ্টমীর পুজো নিয়ে বহু বাড়িতেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এক দিকে পুজোর জোগাড় নিয়ে ব্যস্ততা। অন্য দিকে, অতিথি-অভ্যাগতদের স্বাগত জানানোর তোড়জোড়। অনুষ্ঠানের দিনে ঘরভর্তি লোকজন আসার কথা, তাই বাড়িটিও সাজানো জরুরি। ঝক্কি সামলে ফুল, রঙ্গোলি ও সুন্দর পাত্র দিয়ে খুব সহজেই সাজিয়ে ফেলতে পারেন বাড়ি।
মূল দরজা
বাড়ির মূল দরজা সাজিয়ে তুলতে পারেন ফুল ও প্রদীপ বা সুদৃশ্য বাতি দিয়ে। আসল ফুলের ছোঁয়ায় যে কোনও সজ্জাই অন্য মাত্রা পায়। চাইলে বাজারচলতি কৃত্রিম ফুলও ব্যবহার করতে পারেন। ফুলের মালা ছোট থেকে বড় বিভিন্ন আকারে কেটে দরজার মাথা থেকে লম্বা করে ঝুলিয়ে দেওয়া যায়। একরঙা কোনও ফুল দিয়েও মূল প্রবেশদ্বার সাজিয়ে তুলতে পারেন। লম্বালম্বি ফুলের মালা ঝোলানোর পাশাপাশি ঢেউ খেলিয়ে সেগুলি আড়াআড়ি লাগানো যেতে পারে। ফুলের মালার নীচে কোনও ছোট ঘণ্টা বেঁধে দিলেও সাজ অন্য মাত্রা পাবে।
পাশাপাশি, ঘরের প্রবেশদ্বারের দু’পাশে মাটির সরায় জল রেখে তাতে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে ভাসমান বাতি জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। দেখতে বেশ ভাল লাগবে।
রঙিন হাঁড়ি
জন্মাষ্টমীর অন্দর সজ্জায় রঙিন মাটির হাঁড়ির ব্যবহার বেশ মানানসই হবে। এখন অনলাইনে বা দোকানেও রঙিন বিভিন্ন আকারের সুদৃশ্য মাটির হাঁড়ি পাওয়া যায়। ঘরের কোনও একটি অংশে টেবিলের উপরেও সেই হাঁড়ি বড় থেকে ছোট একটার উপর একটা সাজিয়ে রাখতে পারেন। আবার ঝোলানো সম্ভব হবে পুঁতি দিয়ে সাজানো দড়ির সাহায্যে হাঁড়িগুলি ঝুলিয়েও রাখতে পারেন। তাতে একটি কারুকাজ করা বাঁশি থাকলে দেখতে বেশ লাগবে।
৩. আলপনা ও রঙ্গোলি
অনুষ্ঠানের দিনে আলপনা দিয়ে সাজানোর রীতি বেশ পুরনো। তবে যদি আলপনার বদলে সুন্দর রঙ্গোলি করে তোলেন, তবে ঘরের সৌন্দর্য এক নিমেষেই বৃদ্ধি পাবে। মূল ফটকের সামনে রঙ্গোলি করতে পারেন, চাইলে কাচের টেবিলের উপরেও করতে পারেন। মেঝের কোনও একটি অংশে রঙ্গোলি করে তা রকমারি প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে তুললেও দেখতে সুন্দর হবে। আলপনার নকশা কিন্তু ফুলের মালা দিয়ে বা ফুলের পাপড়ি দিয়েও করা সম্ভব। ছোট থেকে বড় কয়েকটি বৃত্ত এঁকে, একটি গোল রঙ্গোলির রং দিয়ে পরের গোলটি একরঙা ফুলের পাপড়ি দিয়ে সাজাতে পারেন।
৪. প্রদীপ ও থালা
ঘর সাজানোর জন্য সুদৃশ্য বাতিদান, পিতলের ছোট থেকে বড় থালা এমনকি বাটিও ব্যবহার করতে পারেন। একটি পিতলের থালায় প্রথমে গোলাপের পাপড়ি ধার বরাবর গোল করে সাজিয়ে দিন। পরের স্তরে রাখতে পারেন সাদা রঙের ফুলের পাপড়ি। মাঝখানে কোনও বড় আকারের রঙিন জারবেরা রাখলেই থালাটি দারুণ লাগবে। আবার ফুলের মাঝে ছোট্ট পিতলের প্রদীপটিও জ্বালিয়ে দিতে পারেন। একই ভাবে পিতলের বাটিতে জল দিয়ে একটি বড় রঙিন পাপড়ি ছড়ানো ফুল ভাসিয়ে দিলেও দেখতে বেশ লাগবে। এ ভাবে থালা ও বাটি সাজিয়ে ঘরের বিভিন্ন প্রান্তে টেবিলগুলি সাজিয়ে তোলা যায়। এর পাশে সুদৃশ্য বাতিদান রাখলেও মানানসই হবে।
৫. কাচের পাত্র ও ফুলদানি
জল দিয়ে ফুল সাজানোর জন্য শুধু পিতল নয়, কাচের সুদৃশ্য বড় থেকে ছোট পাত্র, এমনকি ফুলদানিও ব্যবহার করতে পারেন। কাচের পড় পাত্রে জল নিয়ে গোলাপের হলুদ বা গোলাপি পাপড়ি ছড়িয়ে তার মধ্যে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট বাতি ভাসিয়ে দিতে পারেন। আবার ঘরের বিভিন্ন জায়গায় সুন্দর করে ফুলও সাজিয়ে নিতে পারেন। আর এই সজ্জার পাশে যদি ছোট্ট ও সুদৃশ্য গোপালের মূর্তি রাখা যায়, দেখতে বেশ মানাবে। ছোট ছোট রকমারি মূর্তি দিয়েও ঘর সাজাতে পারেন। কাচের পাত্রে ঘরের বড় টেবিল কিংবা ছোট টেবিলে সেগুলি সাজিয়ে রাখতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy