ঘরের কোণ কী ভাবে সাজালে পুরনো ঘরও নতুনের মতো লাগবে। ছবি: ফ্রিপিক।
কোন দেওয়ালে কী আসবাব থাকবে, কোন ঘরের রং কী হবে, কী কী সরঞ্জাম দিয়ে ঘর সাজাব এ সবই আমরা ভাবি বা চর্চা করি সব সময়ে, কিন্তু ঘরের কোণ কোণ কেমন করে সাজালে পুরো ঘরের চেহারাটাই বদলে যাবে সেটা তেমন ভাবে ভাবি না। ফলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় ঘরের কোণ ফাঁকা থেকে যায়, না হলে ধুলোময়লা জমে নোংরা হয়ে থাকে! পরবর্তী কালে পোকামাকড়ের বাসস্থান হয়ে ওঠে। কিন্তু জানেন তো, ঘরের কোনা যদি সুন্দর করে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখা যায়, তা হলে গোটা ঘরের সাজেই নান্দনিকতার ছাপ পড়ে। তাই ঘর যদি ছোট হয়, জায়গা সীমিত থাকে, তা হলেও এমন ভাবে ঘরের কোনা সাজান, যা মুগ্ধ করবে। বেশি সরঞ্জামের দরকার নেই, ছিমছাম ভাবেও ঘরের কোনা সাজাতে পারেন। জেনে নিন কী ভাবে।
এ বার মনে হতেই পারে, কোন ঘরের কোণে কী রাখবেন। এ ক্ষেত্রে ঘরের আকার,আয়তন কেমন, দেওয়ালের রং কেমন সেটা খেয়াল করতে হবে আগে। তার পর সিদ্ধান্ত নেবেন কী ধরনের জিনিস রাখলে ভাল লাগবে। ইচ্ছে হলে আসবাব দিয়ে সাজাতে পারেন, অথবা রাখতে পারেন বড় লম্বা ফুলদানি, ফ্লোর ল্যাম্পও দারুণ লাগে ঘরের কোণে। ধরুন, বসার ঘরের কোণ সাজাতে চাইছেন। সেই ঘরে হয়ত কোণের পাশেই জানলা বা দরজা রয়েছে। তা হলে সেখানে ফ্লোর ল্যাম্প না রেখে বরং আসল বা কৃত্রিম গাছ রাখুন। বড় টবে গাছ খুব সুন্দর লাগবে দেখতে। না হলে বড় বড় ফুলদানি কিনে নিতে পারেন। তাতেও ঘরের কোণ খুব সুন্দর লাগবে।
ঘরের কোণ যদি খালি থাকে, আলমারি বা অন্য আসবাব না থাকে, তা হলে সেখানে সুন্দর ল্যাম্প বা পেনডেন্ট লাইট ঝুলিয়ে দিতে পারেন। কর্নার টেবিল থাকলে সেটার উপর মানানসই শো-পিস দিয়েও সাজাতে পারেন। যদি শোয়ার ঘরের কোণ হয় তা হলে সেখানে বসার সুন্দর জায়গা করতে পারেন। ছোট জায়গা হলে একখানা বেতের মোড়াই যথেষ্ট। অথবা এখন ছোট সোফা পাওয়া যায়, তা-ও রাখতে পারেন। যদি জায়গা বেশি থাকে তা হলে কোণের দেওয়ালে ওয়ালপেপার বা কোনও ছবি দিয়ে হাইলাইট করতে পারেন।
খাওয়ার ঘরের কোণ হলে ক্রকারি ইউনিট বেশ ভাল লাগবে। তিনকোনা সরু শেল্ফও রাখতে পারেন। রান্নাঘরের টুকিটাকি জিনিস সাজাতে পারেন সেখানে। তবে শোয়ার ঘর বা বসার ঘরের কোণে যদি শো-পিস বেশি রাখেন, তা হলে ডাইনিং রুমের কোণ শো-পিস দিয়ে সাজাবেন না। বরং সেখানে দরকারি কিছু জিনিস রাখুন। গোটা বাড়ি শো-পিস দিয়ে সাজালে দেখতে মোটেও ভাল লাগবে না। কাচের বাসনপত্রও কর্নার শেল্ফে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে পারেন।
বাড়ির খুদে সদস্যটির ঘর যদি আলাদা হয়, তা হলে সেই ঘরের কোণ ফাঁকা রেখে দেবেন না। সেই অংশে দেওয়ালে বুক শেল্ফ বা ক্যাবিনেট তৈরি করাতে পারেন। কাঠের তৈরি ছোট্ট শোকেসও ভাল লাগবে দেওয়ালে। যদি জায়গা একটু বেশি থাকে, তা হলে ছোট্ট টেবিল ও দুটো চেয়ার রেখে দিন। বসার জায়গা হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে আবার টুকটাক লেখালিখির কাজও সারতে পারবেন। এ বার নজর দিন কোনার পাশের দেওয়ালের দিকে। কোনও আসবাব না রেখে রঙিন মুখোশ ঝুলিয়ে দিন অথবা ওয়াল হ্যাঙ্গিং রাখতে পারেন। দেওয়ালের রং সে ক্ষেত্রে হালকা হলেই ভাল। দেখবেন গোটা ঘরের চেহারাই বদলে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy