রোস্ট বিষয়টা তো বিলিতি। মূলত মাংস দিয়েই রোস্ট রাঁধা হয় সে দেশে। কিন্তু বাঙালি হেঁশেলে তো রোজ মাংস রাঁধা হয় না। তাই বলে কি রোস্ট রাঁধা হবে না? বাঙালির মাথা যেখানে আছে, সেখানে সবই সম্ভব। তাই রোস্টে মাংসের বদলে যোগ করা হয়েছে ফুলকপি। কিন্তু এই চাঁদিফাটা গরমে তো ভাল ফুলকপি পাওয়া যাবে না। তা হলে কী করবেন?
বিবিধ বিষয় নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষায় সিদ্ধহস্ত কলকাতার ঠাকুরবাড়ি। সাহিত্য, সংস্কৃতি, সাজগোজ, রুচি, এমনকি খাবারের পদ নিয়েও কাটাছেঁড়া হত সেই বাড়িতে। দেশি জিনিস দিয়ে বিলিতি পদ রাঁধার সাহস আজ থেকে বহু বছর আগে দেখিয়ে গিয়েছিলেন ঠাকুরবাড়ির মহিলারা। রোস্টের মতো বিলিতি পদে পটলের অনুপ্রবেশ, তেমনই একটি গবেষণার ফল। দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন সেই পদ।
আরও পড়ুন:
উপকরণ:
১০-১২টি পটল
২টি পেঁয়াজ
১ চা-চামচ আদাবাটা
আধ চা-চামচ কাঁচালঙ্কা বাটা
১ চা-চামচ কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো
স্বাদ অনুযায়ী নুন
স্বাদ অনুযায়ী চিনি
১ চা-চামচ ঘি
১ চা-চামচ তেঁতুলের ক্বাথ
৪ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
আরও পড়ুন:
প্রণালী:
প্রথমে পটল ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। পটলগুলি গোটা রাখবেন। পটলের গা ছুরি দিয়ে একটু চিরে দিতে হবে, যাতে সব্জির মধ্যে মশলা ঢুকতে পারে। সঙ্গে পেঁয়াজও একেবারে মিহি করে কেটে রাখুন।
এ বার কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করে নিন। তার মধ্যে দিয়ে দিন পেঁয়াজকুচি। পেঁয়াজে সোনালি রং ধরলে আদা এবং কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে দিন।
ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। সমস্তটা ভাল করে ভাজা হয়ে গেলে এ বার লঙ্কাগুঁড়ো, নুন এবং চিনি দিয়ে দিন।
মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে কেটে রাখা পটলগুলি কড়াইয়ে দিয়ে দিন। এমন ভাবে নাড়াচাড়া করুন, যেন প্রতিটি পটলের ভিতর মশলা প্রবেশ করতে পারে।
১০-১৫ মিনিট ভাল করে কষিয়ে নিয়ে পরিমাণ মতো জল দিয়ে দিন। কড়াইয়ের মুখে ঢাকা দিয়ে পটল সেদ্ধ হতে দিন।
মিনিট পাঁচেক পর ঢাকা খুলে নাড়াচাড়া করতে করতে অতিরিক্ত জল শুকিয়ে ফেলুন। পুরো বিষয়টা যেন গায়ে মাখো মাখো হয়।
নামানোর আগে উপর থেকে সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিলেই কাজ শেষ। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশ করুন পটলের রোস্ট।