Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Health Tips

বাটারমিল্কের গুণাগুণ

হজমের সমস্যা দূর করতে, শরীর ঠান্ডা রাখতে এই দুগ্ধজাত খাবারের তুলনা নেই...হজমের সমস্যা দূর করতে, শরীর ঠান্ডা রাখতে এই দুগ্ধজাত খাবারের তুলনা নেই...

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২০ ০১:৪৪
Share: Save:

একাধারে দুধের গুণাগুণ সমৃদ্ধ কিন্তু দুধের চেয়ে ফ্যাট কম, এই দুগ্ধজাত খাবার বাটারমিল্ক-এ, বাংলায় যাকে আমরা ঘোল বা লস্যি বলি। ফলে যাঁদের দুধ হজম করতে সমস্যা, অর্থাৎ ল্যাকটোজ় ইনটলারেন্ট, তাঁরাও কিন্তু সহজেই প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, মিনারেল সমৃদ্ধ বাটারমিল্ক খেতে পারেন। এতে ল্যাকটিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকায় তা হজম করাও সহজ।

উপকারিতা

• ডায়াটিশিয়ান সুবর্ণা রায়চৌধুরী বললেন, ‘‘দই খেতে সকলে পছন্দ নাও করতে পারেন। ছোট বাচ্চারাও অনেক সময়ে দুধ বা দই খেতে চায় না। ল্যাকটোজ় ইনটলারেন্ট হলেও দুধ খাওয়া যায় না... এ সব ক্ষেত্রে তাঁদের দইয়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে সুস্বাদু ঘোল বানিয়ে দেওয়া যেতে পারে। যে কোনও মরসুমেই শরীরে লিকুইড ইনটেক বেশি হওয়া দরকার, বিশেষত গরমে। প্রত্যেকের রোজ যতটা জল খাওয়া দরকার, ততটা হয়তো অনেকেই খান না বা রাস্তাঘাটে বেরোলেও সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাটারমিল্ক কিন্তু খুব ভাল সমাধান। এতে শরীর প্রয়োজনীয় তরলও পেল, ক্যালরিও পেল, পুষ্টিও হল। কিছু কিছু রোগ যেমন, রেনাল ডিজ়িজ়ের ক্ষেত্রে, ফ্লুয়িড ইনটেক কম হওয়া দরকার, সে ক্ষেত্রে বাটারমিল্ক না খাওয়াই ভাল। ডায়াবেটিক রোগী যখন খাবেন, তখন চিনি মেশানো উচিত হবে না।’’

• বাটারমিল্ক বা ঘোল হজমেও বিশেষ সাহায্য করে। খুব বেশি রসুন, পেঁয়াজ বা অন্যান্য মশলা সহযোগে রান্না খাবার খাওয়ার পর অনেক সময় পেটে সমস্যা হয়। এই জাতীয় খাওয়াদাওয়ার পর এক গ্লাস ঘোল খেলে তা হজমে সাহায্য করে। কারণ তা অতিরিক্ত ফ্যাট যা খাদ্যনালীর গায়ে পরত তৈরি করে, সেটা ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করে। তা ছাড়া, বেশি খাওয়ার পর অনেক সময়েই অলস লাগে, কাজে উৎসাহ পাওয়া যায় না। তখন মুশকিল আসান করতে পারে ঘোল। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন দুর্বলতা কাটাতে বা অ্যানিমিয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর।

• হজমের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, লস্যি বা ঘোল বা ছাঁস তাঁদের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে ল্যাকটিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকায়, তা ব্যাকটিরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে ও
হজমে সাহায্য করে। আদা, গোলমরিচের গুঁড়ো বা জিরে মিশিয়ে যখন ছাঁস বানানো হয়, তখন তাতে হজমে সহায়ক উপাদান থাকে। এই উপাদান পেটে গ্যাসের সমস্যা সমাধানে কাজে দেয়। তাই যাঁরা নিয়মিত এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য এই পানীয় কিন্তু উপকারী।

• দই, নুন ও কখনও কখনও নানা মশলা সহযোগে বাটারমিল্ক বানানো হয় বলে, তার ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধেরও ক্ষমতা রয়েছে। ইলেকট্রোলাইটিসে পরিপূর্ণ বলে তাপ থেকে বাঁচতে ও শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতে পারে এই পানীয়। শুধু ডিহাইড্রেশন নয়, গরমে র‌্যাশ, ঘামাচি, দুর্বলতা... এ সব ক্ষেত্রেও ঘোল খুব কার্যকরী। শরীর ঠান্ডা রাখতেও কিন্তু বাটারমিল্কের ভূমিকা রয়েছে।

• বাড়িতে সুস্বাদু মশলা লস্যি বা ছাঁস বানানোও খুবই সহজ। এক কাপ টক দই, দু’কাপ ঠান্ডা জল, একটি কাঁচালঙ্কা, সামান্য আদা, এক টেবিলচামচ কুচানো ধনেপাতা, হাফ চা চামচ জিরে গুঁড়ো, স্বাদমতো বিটনুন ও নুন, সামান্য চাটমশলা একসঙ্গে মিক্সিতে খুব ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। তার পর গ্লাসে ঢেলে উপরে ধনে পাতা বা পুদিনা পাতা ছড়িয়ে দিন। এই লস্যি খেতে যেমন ভাল, তেমনই শরীরও রাখবে ঠান্ডা।

অন্য বিষয়গুলি:

Health Tips Indrajit
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy