গুগল ডুডলে সত্যেন্দ্রনাথ বসু ছবি: সংগৃহীত
সৃজনশীল ডুডলের মাধ্যমে সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে শ্রদ্ধা জানাল গুগল। শনিবার গুগল খুললেই চিরাচরিত লোগোর বদলে দেখা যাচ্ছে, সত্যেন্দ্রনাথ বসুর একটি ছবি, সঙ্গে পরমাণুর অভ্যন্তরের একটি প্রতীকী চিত্র। ১৯২৪ সালের এই দিনেই অ্যালবার্ট আইনস্টাইনকে নিজের তত্ত্বের কথা জানান সত্যেন্দ্রনাথ বসু। সেই দিনটিকে মনে রেখেই এমন সম্মানজ্ঞাপন গুগলের।
পদার্থবিদ্যায় কোয়ান্টাম বলবিদ্যার ক্ষেত্রে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর তত্ত্ব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলকগুলির মধ্যে অন্যতম। আইনস্টাইনের সঙ্গে যৌথ ভাবে প্রকাশিত ‘বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান’ পদার্থবিজ্ঞানের জগতে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বগুলির মধ্যে একটি।
সত্যেন্দ্রনাথ বসুর আদি বাড়ি নদিয়ার বড় জাগুলিতে। সেখান থেকে প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা। শিক্ষক হিসাবে পেয়েছিলেন আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ও আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের মতো শিক্ষক। সহপাঠী ছিলেন আরেক দিকপাল বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর এখনও টপকাতে পারেননি কেউ।
কর্মসূত্রে সত্যেন্দ্রনাথ যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই সময়েই একাধিক গবেষণাপত্রের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর খ্যাতি। কুড়ির দশকে ‘বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট’ তত্ত্ব তাঁকে প্রতিষ্ঠা দেয় বিশ্বের দরবারে। যে ‘বোসন’ কণা নিয়ে এত আলোচনা হয় পদার্থবিদ্যায়, তাঁর নামকরণ হয়েছে সত্যেন্দ্রনাথের নামানুসারেই। শুধু পদার্থবিজ্ঞানই নয়, রসায়ন ও গণিতেও তাঁর অবদান অপরিসীম। একাধিক বার নোবেল পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম প্রস্তাবিত হলেও শেষ পর্যন্ত নোবেল পাননি তিনি। তবে তাঁর গবেষণার উপর ভিত্তি করে পরবর্তীকালে নোবেল পেয়েছেন ৭ জন বিজ্ঞানী। শুধু বিজ্ঞান নয় ‘পপ কালচারে’ও ছড়িয়ে রয়েছেন বাঙালি এই কিংবদন্তি বিজ্ঞানীর নাম। নেটফ্লিক্সের করা ‘স্পেকট্রল’ নামক একটি অ্যাকশন ছবির গল্পের কেন্দ্রে ছিল তাঁরই গবেষণা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy