Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Food That Should not Be cooked

৫ খাবার: রান্না করার পর সব স্বাস্থ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়, খেয়ে কোনও লাভ হয় না

স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন ভেবে মনের শান্তি হলেও, আদতে পুষ্টি পায় না শরীর। রান্না হওয়ার পর পুষ্টি হারায় কোন খাবারগুলি?

Foods that lose their nutrients when cooked.

রান্নার পর পুষ্টিগুণ হারায় কোন খাবারগুলি? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৮
Share: Save:

স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা কম দীর্ঘ নয়। শাকসব্জি থেকে ফলমূল, শরীরের খেয়াল রাখতে পারে এমন বহু খাবার আছে। সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। তবে উপকারী খাবার খাচ্ছেন মানেই যে সুস্থ থাকবে শরীর, তার কোনও মানে নেই। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি কাঁচা খেলে যতটা সুফল মেলে, রান্না করার পর অর্ধেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন ভেবে মনের শান্তি হলেও, আদতে পুষ্টি পায় না শরীর। রান্না হওয়ার পর পুষ্টি হারায় কোন খাবারগুলি?

পালং শাক

শীতের বাজারে পালং শাকের ছড়াছড়ি। পালংয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ক্যালশিয়াম এবং অক্সালিক অ্যাসিডে ভরপুর পালং শাক যখনই রান্না করা হয়, এর পুষ্টিগুণ একেবারে তলানিতে চলে যায়। রান্না করার চেয়ে পালং যদি কাঁচা রস করে খেতে পারেন, উপকার পাবেন।

টম্যাটো

রান্নায় টম্যাটো দিলে স্বাদ বেড়ে যায়। তবে রান্নার পর টম্যাটোতে থাকা ভিটামিন সি-র পরিমাণ অনেক কমে যায়। উচ্চ তাপে টম্যাটোর আরও অনেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। টম্যাটো কাঁচা খাওয়াই সবচেয়ে ভাল।

ব্রকোলি

শীতের দুপুরে ব্রকোলি দেওয়া মাছের ঝোলে খেতে মন্দ লাগে না। ব্রকোলি রান্নায় পড়লে স্বাদের যত্ন হয় ঠিকই। তবে শরীরে বাড়তি কোনও উপকার পাওয়া যায় না। কারণ, ব্রকোলিতে থাকা উপকারী সব পুষ্টিগুণ রান্নার পর নষ্ট হয়ে যায়। ব্রকোলিতে থাকা ভিটামিন সি রান্নার পর আর কিছু বেঁচে থাকে না।

Foods that lose their nutrients when cooked.

রান্না হয়ে যাওয়ার পর রসুনের স্বাস্থ্যগুণ সমস্ত নষ্ট হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।

রসুন

শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা— সারা বছর সুস্থ থাকতে রসুনের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখা যায়। মাছের কালিয়া, কষা মাংস রান্না রসুন ছাড়া অসম্পূর্ণ। রসুনে রয়েছে অন্যতম উপকারী উপাদান অ্যালিসিন। তবে রান্না হয়ে যাওয়ার পর রসুনের স্বাস্থ্যগুণ সমস্ত নষ্ট হয়ে যায়। তাই গরম ভাতে কাঁচা রসুন খেতে পারেন। সুফল পাবেন।

দই

প্রোবায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ দই হজমের গোলমাল ঠেকাতে অত্যন্ত কার্যকরী। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। পুষ্টিবিদেরা তাই রোজ দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শুধু টক দই খাওয়া সত্যিই উপকারী। অনেকেই রান্নায় টক দই ব্যবহার করেন। তবে রান্নায় টক দইয়ের ভূমিকা শুধুই স্বাদ বাড়ানো। তার চেয়ে খাওয়ার পর এক বাটি টক দই খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

অন্য বিষয়গুলি:

Food Cook Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy