মধুর চাহিদা যতই বেড়েছে, ততই এর জোগানে এসেছে ভেজাল। ছবি: শাটারস্টক।
শীতের মরসুমে তো বটেই, এমনিতেই সারা বছর মধুর চাহিদা গৃহস্থ ঘরে থাকেই। ঠান্ডায় সর্দি-কাশি থেকে উদ্ধার পেতেই শুধু নয়, মেদ ঝরাতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, সংক্রমণ রুখতে মধুর ভূমিকা অনেক।
প্রাকৃতিক ভাবে মধু কিছুটা অ্যান্টিসেপ্টিকেরও কাজ করে। তাই ক্ষত সারাতেও এর ব্যবহার রয়েছে। তবে মধুর চাহিদা যতই বেড়েছে, ততই এর জোগানে এসেছে ভেজাল। নামী ব্র্যান্ডের মধুতেও নানা সময়ে মিলেছে ভেজাল। সম্প্রতি সুন্দরবনের খাঁটি মধুর নামে রাসায়নিকযুক্ত ভেজাল মধু বিক্রির অভিযোগও জমা পড়েছে কলকাতা পুরসভায়।
খাঁটি মধু চিনে নেওয়ার কিন্তু বিশেষ উপায়ও আছে, তা জানলে দোকানী কিছুতেই ভেজাল মধু দিয়ে ঠকাতে পারবেন না আপনাকে। কী কী উপায়ে চিনবেন খাঁটি মধু জানেন?
এক টুকরো ব্লটিং পেপারে কয়েক ফোঁটা মধু ঢালুন। যদি ব্লটিং পেপারটি সম্পূর্ণ মধুটি শুষে নেয়, তবে বুঝতে হবে এ মধু খাঁটি নয়। শীতে কি কৌটোর মধু দানা বাঁধছে না? তা হলে জানবেন এতে অতি মাত্রায় রাসায়নিক বা প্রিজারভেটিভ মেশানো রয়েছে। মোমবাতের সলতে মধুতে ডুবিয়ে তাকে জ্বালানোর চেষ্টা করুন। যদি জ্বালাতে সক্ষম হন, তা হলে বুঝবেন এই মধু খাঁটি। না জ্বললে সেই মধুতে ভেজাল রয়েছে।
পরিষ্কার একটি সাদা কাপড়ের টুকরোয় কয়েক ফোঁটা মধু ফেলে কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন। তার পর জল দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। যদি সহজেই দাগ উঠে যায়, তবে সে মধু একেবারেই খাঁটি নয়। মধুর দাগ সহজে যাওয়ার নয়। মধুর ঘনত্ব জলের চেয়ে বেশি। তাই জলে-মধুতেও খুব একটা মিশ খায় না। আধ কাপ জলে কয়েক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়াল রাখুন তা জলে মিশে যাচ্ছে কি না। বেশির ভাগটাই মিশে গেলে বুঝবেন, মধুর সঙ্গে মেশানো হয়েছে নানা নকল উপাদান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy