ড্যাম্প রুখতে কিছু কৌশল অবলম্বন করুন। ছবি: শাটারস্টক।
আবহাওয়ার পরিবর্তনের খামখেয়ালে শুধু যে আমাদের শরীরই খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা কিন্তু নয়, সে ভাবে যত্ন না নিলে নষ্ট হয় ঘর-বাড়ির শরীরও। এই বসন্তের শুরুতেই দেদার অকাল কালবৈশাখী হোক বা বর্ষার দুর্যোগ— প্রকৃতির হাত থেকে নিজের ঘরকে বাঁচাতে হলে প্রথমেই নজর দিতে হবে ড্যাম্পের দিকে।
দেওয়ালের গায়ে ভিজে ভিজে ছোপ পড়ার মানেই স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়ছে ঘর। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার ড্যাম্পের জেরে ঘর থেকে জলও পড়ে। খুব দামী উপকরণ বা নামী সংস্থার রং দিয়ে ঘরবাড়ি বানালেও ড্যাম্প ধরতেই পারে।
বরং যে সব কারণে ড্যাম্প ধরে, সেগুলিকে সরিয়ে দিলে বা আরও কিছু জরুরি যত্ন জেনে নিলে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন সহজেই। জেনে নিন ড্যাম্প কাটানোর উপায়।
আরও পড়ুন: জিম বা ডায়েটের সময় নেই? ঘাম না ঝরালেও এই পানীয় কমাবে মেদ
ঘরে যে অংশ ড্যাম্প ধরছে তা আগে খুঁজে বার করুন। সেই অংশের দেওয়ালে প্রয়োজনীয় ড্যাম্পরোধক ব্যবহার করুন। ঘরের ভেন্টিলেশনের ভূমিকাকে অবহেলা করবেন না। হতেই পারে সেখান থেকে জল চুঁইয়ে পড়েই সর্বনাশ করছে দেওয়ালের। তেমন হলে অভিজ্ঞ কারিগর ডেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন। যদি জোলো জায়গার উপর বা়ড়ি তৈরি করেন, তা হলে কিন্তু ভিত কাটার সময় তার গভীরতা বেশি রাখুন, অবশ্যই ড্যাম্প প্রতিরোধক মেশান সিমেন্টের সঙ্গে। রঙেও মেশান তা। মাঝে মঝেই ঘরের আসবাবের জায়গাপত্র বদলান। দীর্ঘ দিন একই জায়গায় আসবাব থেকে গেলে তা থেকেও ড্যাম্প ধরে ঘরে।
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ভয়? সুস্থ থাকুন এ সব খেয়ে
দিনের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট সময় ঘরের দরজা-জানালা খুলে রাখুন। ঘরে যত আলো-হাওয়া ঢুকবে, ততই স্যাঁতসেঁতে হয়ে পড়ার সম্ভাবনা সরবে। নইলে বন্ধ ঘরে জলীয় বাষ্প জমে থাকলে সমস্যা বাড়ে। সানসেড বা ছাদে কোনও ফাটল ধরলে বর্ষার আগেই তা সারিয়ে নিন। এ সব ক্ষেত্রে ড্যাম্প প্রতিহত করার সিমেন্ট ব্যবহার করুন। বাড়িতে এসি থাকলে তার জলটাও ঠিক নিষ্কাশনীর মাধ্যমে ঘরের বাইরে বার হচ্ছে কি না সে দিকে নজর দিন। দেওয়াল ঘেঁষে এই জল বেরলেও ড্যাম্পের সমস্যা বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy