ডিমের মিশরীয় স্যালাড
রোজ ডিম খাওয়ার উপদেশ তো কত জনেই দেয়। কিন্তু একই ধাঁচের রান্না রোজ রোজ খাওয়া যায় কি? খাবারের একঘেয়েমি কাটাতে এ বার ডিম দিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় চটজল্দি স্যালাড। প্রাতরাশে ডিম খাওয়ার চল যদিও সব দেশেই যথেষ্ট। তবে দিনের যে কোনও সময়ে ডিমের স্যালাড ভরপুর খাবার হিসেবে কাজ করতে পারে। দিনের শুরুতে অন্তত একটা ডিম খেলে যেমন প্রয়োজনীয় পুষ্টি যাবে শরীরে, তেমন সহজেই খাবার হয় মুখরোচক।
ডিম দিয়ে তৈরি একটি স্যালাড বানানোর প্রণালী দেওয়া রইল নীচে—
ডিমের মিশরীয় স্যালাড
এই স্যালাডটি কাঁচা নয়। একটু রান্না করতে হয়। ডিমের সঙ্গে এতে প্রাধান্য পায় বিনসের বীজ। অর্থাৎ, এই স্যালাডের দু’টি উপকরণই প্রোটিনে ভরপুর। তাই এতে যেমন শরীরের পুষ্টির ব্যবস্থা হবে, তেমনই পেট ভরা থাকবে অনেকটা সময় পর্যন্ত। স্যালাড বানাতে হবে তিনটি ধাপে।
১) একটি পাত্রে জল গরম করতে হবে। ফুটে গেলে, আঁচ কমিয়ে ডিম দিতে হবে জলে। মিনিট পাঁচেক ধরে সেদ্ধ হবে ডিম। গ্যাস বন্ধ করে, পাত্রের গরম জল ফেলে তাতে ঢালতে হবে ঠান্ডা জল। ডিম একটু ঠান্ডা হলে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে, সমান দু’টি ভাগে কেটে ফেলতে হবে। এরই মাঝে তিন চামচ গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে এক চা চামক পাতি লেবুর রস।
২) অল্প পেঁয়াজ এবং কয়েক কোয়া রসুন কুচিয়ে রাখতে হবে। একটি পাত্রে এক চামচ তেল গরম করে তাতে ভেজে নিতে হবে পেঁয়াজ আর রসুন। কম আঁচেই করতে হবে সেই রান্না। তাতে অল্প নরম হয়ে যাবে পেঁয়াজ-রসুন। একটু নাড়াচাড়ার পরে কয়েক দানা জিরে দিতে হবে গরম তেলে। মিনিট দুই পরে তাতেই বিনসের বীজ দিয়ে দেওয়া যায়। কিছু ক্ষণ অল্প আঁচে রেখে দিলে নরম হয়ে যাবে সবটাই। তখন হাতা দিয়ে ধীরে ধীরে পিষে দিতে হবে মিশ্রণটি। এর কিছু ক্ষণের মধ্যে রান্নাটি থকথকে ভাব নেবে। তখনই তার উপর দিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে লেবুর রস।
৩) গ্যাস থেকে নামিয়ে একটি প্লেটে ঢালতে হবে রান্না। তার উপরে ডিমের টুকরো দু’টি বসাতে হবে। স্যালাডটা সাজাতে টোম্যাটো আর কাঁচা লঙ্কা কুচি ছড়িয়ে দেওয়া যায় উপর দিয়ে।
এই রান্নায় যেমন সময় লাগে কম, তেমন পেটও ভরে যথেষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy