খাঁটি গুড় চেনার উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
শীত রোজই লুকোচুরি খেলছে। সকালে কুয়াশার আস্তরণ আবার রাতে কনকনে ঠান্ডা। এমন খামখেয়ালি আবহাওয়ায় খেজুরও এক রকম বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। কারণ, জাঁকিয়ে ঠান্ডা না পড়লে ভাল খেজুরের রস পাওয়া যাবে না। কিন্তু এত সব তত্ত্ব কথা তো গুড়প্রেমীরা বুঝবেন না। ভাল খেজুরের রস না পেলে গুড় হবে কোথা থেকে? তাই ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে গুড়ের জোগান অব্যাহত রাখতে, অশুদ্ধি মেশাতে শুরু করেছেন। বাজারে ছেয়ে গিয়েছে সেই ভেজাল গুড়। তবে, কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই গুড় আসল কি না, তা বুঝতে পারবেন।
১) চিনি
আসল গুড়ের নিজস্ব মিষ্টত্ব রয়েছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী খেজুরের রসের মধ্যে আখের রসও মেশান। যা গুড়ের স্বাদ বদলে দিতে পারে।
২) স্টার্চ
গুড়ের সঙ্গে স্টার্চ মেশানো আরও একটি খারাপ অভ্যাস। পরিষ্কার জলের মধ্যে সামান্য একটু গুড় দিয়ে লক্ষ করুন, তা জলে দ্রবণীয় কি না। যদি পাত্রের তলায় গুড়ের মধ্যে থাকা কোনও অশুদ্ধি থিতিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে স্টার্চ মেশানো রয়েছে।
৩) মিনারেল অয়েল
গুড়ের মসৃণতা বজায় রাখতে ব্যবসায়ীরা গুড়ের সঙ্গে নানা রকম তেল মেশান। গুড়ে তেমন কিছু মেশানো আছে কি না, তা দেখার জন্য দু’-তিনটি আঙুলে সামান্য গুড় নিলেই বুঝতে পারবেন।
৪) কৃত্রিম গন্ধ
গুড়ের গন্ধে পাগল হয়ে চোখ বন্ধ করে গুড় কিনে ফেলা যাবে না। আসল খেজুরের গুড়ের সুবাস আনতে নানা রকম রাসায়নিক মেশানো হয় নকল গুড়ে। যে গন্ধ শুঁকে একেবারে বোঝার উপায় থাকে না, তা আসল না নকল।
৫) কৃত্রিম রং
গুড়ের যে লালচে সোনালি রং, তার জন্যও ইদানীং রাসায়নিক মেশানোর চল শুরু হয়েছে। আবার, গুড়ের দানা যদি স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ হয়, তা হলে বুঝবেন তার মধ্যেও মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy