কেরিয়ারের শুরুতে ছবির জন্য ওজন বাড়িয়েছিলেন ভূমি। মেদ ঝরিয়ে ফেলার আগেও সাজেগোজ নিয়ে কখনও আপস করেননি তিনি। ছবি: সংগৃহীত
‘এমা এই চেহারায় এ কী পোশাক’! ‘এই রং শুধু রোগাদেরই মানায়’! ‘জামাটা একটু ঢিলেঢালা হলে ভাল হত বোধহয়’! — এই ধরনের পোশাক অনেকেই শুনতে হয়। ওজন, চেহারা যেমনই হোক। তথাকথিত ‘ছিপছিপে চেহারা’র একটুও এ দিক-ও দিক যদি হয় আপনার শরীরের গড়ন, তা হলেই যেন বিপদ! নানা লোকের নানা রকম মন্তব্য এবং ‘উপদেশ’ শুনতে শুনতেই মাথা খারাপ হয়ে যাবে!
এত নিয়ম মেনে সাজা যায় না। সামনেই দুর্গাপুজো। মনের মতো সাজগোজ করার এটাই সেরা সময়। তাই সব ‘উপদেশ’ ভুল যান। নিজেকে বেঁধে রাখবেন না। কী ভাবে সাজবেন, সেটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। কিন্তু কোন কথাগুলি মেনে আপনার সাজের আনন্দ মাটি করবেন না, তা এক নজর দেখে নিন।
১। হাল্কা রং শুধু রোগাদের মানায়
অনেকেই বলবেন শুধু গাঢ় রং পরুন। তা হলে চেহারা রোগা লাগবে। কিন্তু সে সব ভুল যান। অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়ার সময়ে যদি আপনার ইচ্ছা করে একটি লাল পাড়-সাদা শাড়ি পরার, তা হলে পরে নিন। আপনার ইচ্ছাই আসল।
২। ছোট পোশাক চলবে না
যেমন পোশাক পরতে স্বচ্ছন্দ, তেমনই পরুন। লম্বা ঝুল হোক বা ছোট, কেনার সময়ে দ্বিধা করবেন না। যে পোশাক পরে আয়নায় নিজেকে দেখে ভাল লাগবে, সেটিই কিনুন।
৩। ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে
চেহারা একটু ভারী হলেই শরীরের সঙ্গে লেগে থাকা পোশাক নাকি চলবে না! শুধু ঢিলে পোশাকই পরতে হবে। এই নিয়মটি আদতে ভুল। ঢিলা পোশাক পরলে শরীর আরও বড়সড় দেখাবে। কোনও লম্বা ঢিলা জামা পরলেও তাই একটি বেল্ট ব্যবহার করতে বলা হয়। যাতে শরীরে গঠন বোঝা যায়।
৪। প্রিন্ট চলবে না
একটু ভারী চেহারা হলেই নানা রকম নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হয়। চওড়া প্রিন্ট, বড় প্রিন্ট বা খুব রঙিন কোনও চাপা পোশাক পরলে নাকি চেহারা আরও ভারী দেখাবে। এই সব নিয়মে যদি নিজেকে বেঁধে ফেলেন, তা হলে কখনও ইচ্ছা মতো সাজতে পারবেন না। তাই কোনও পোশাক যদি দোকানে দেখে পছন্দ হয়, বেশি না ভেবে কিনে ফেলুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy