‘স্বাস্থ্যবিধি ছাড়ো, পুজোয় নিয়ম ভাঙো।’ ভোজনরসিক থেকে পেটরোগা পুজোয় সকলেরই এক রা। পুজোয় মাইকের ডেসিবেল যেমন চড়ে, খাবারে ক্যালোরি তেমনই চড়চড়িয়ে বাড়ে। তাতেও চূড়ান্ত শরীর সচেতন টলিউডের অভিনেত্রী ও বাংলার খেলোয়াড়রাও এই চার দিন ‘চিট ডায়েট’ করেন। তবে এখন অবশ্য আর চারে আটকে নেই। পুজো এখন বেড়ে হয়েছে প্রায় সাত দিন। সুতরাং সাত দিনই নিয়ম ভাঙো।
চিট ডায়েট কী
নিজের ক্যালোরি মাপা ডায়েট প্ল্যান ভেঙে ওই ক’টা দিন ভাজাভুজি, কাবাব-বিরিয়ানি, সফ্ট ড্রিঙ্কের বন্যা।
ট্রান্স ফ্যাটের বিপদ বাণী
লুচি-কষা মাংস, কেক-পেস্ট্রি, মাইক্রোওয়েভের পপকর্ন, ক্রিম ভরা কুকিজ হল নিখাদ ট্রান্স ফ্যাট। ট্রান্স ফ্যাটে থাকে হাইড্রজেনেটেড ভেজিটেবল অয়েল। এ ক্ষেত্রে উদ্ভিজ্জ তেল, যেমন সানফ্লাওয়ারকে কঠিন করে ব্যবহার করা হয়, যাতে খাবার বেশি দিন ঠিক থাকে। যেমন মার্জারিন। শরীরের জন্য বেজায় ক্ষতিকর এই ট্রান্স ফ্যাট বাড়ায় শরীরের শত্রু এলডিএল কোলেস্টেরল। আর কমায় বন্ধু এইচডিএল কোলেস্টেরল। এলডিএল ধমনীর দেওয়ালে জমা হয়ে রক্তের সঞ্চালনে বাধার সৃষ্টি করে, যা হার্টের জন্য চূড়ান্ত ক্ষতিকর। যাঁদের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তাঁরা এই সব খাবার থেকে সাবধান।
আরও পড়ুন:বাড়িতে বয়স্ক মানুষ রয়েছেন? পুজোর ক’দিন তাঁদের সুস্থ রাখবেন কী উপায়ে?
পুজোতেও চালিয়ে যান শরীরচর্চা
খাব আর বার্ন করব, কিন্তু থিওরিটা কেমন?
চুটিয়ে খাব। সকালে ট্রেনিং করে পুষিয়ে দেব। না, সে আপনি যে-ই হোন, এই থিওরি ভুল। খাটাখাটনি হলে বার্ন হবে ঠিকই, কিন্তু অনেক সময় নিয়ে এই ধরনের ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবারের বিপাক হয় ধীরে। তাই আজ খাব কাল বার্ন করব— এত সহজ নয়। ভাজাভুজি হজম যন্ত্রকে মন্থর করে। সুতরাং খাবার হজমে সমস্যা তো আসেই, আর সঙ্গে আসে লো মুড। শরীরের এনার্জি কমে আলস্য ভাব আসবে। ওয়ার্ক আউট করতে চাইলেও ঘুম ঘুম পাবে।
তা হলে কি পুজোয় না খেয়ে থাকব?
একদমই না, খাবেন। শুধু নীচের লক্ষ্মণরেখা মেনে খান। চার দিন পেট আর শরীর ভাল রাখার দাওয়াই রইল।
সান ফ্লাওয়ার বা অলিভ অয়েল দিয়ে ভাজা খান যা স্বাভাবিক ভাবে তৈরি উদ্ভিজ তেল। কঠিন হাইড্রোজেনেটেড তেল এড়িয়ে চলুন।
লুচি, কষা-মাংস বা বিরিয়ানি বা ফিস ফ্রাইগুলো দুপুরের মধ্যে শেষ করুন। শরীর হজম করার সময় পাবে। রাতে খেলে অনেক সমস্যা। প্রক্রিয়া করা খাবার দেরিতে হজম হয়। সকালে এনার্জির অভাব আর পেট ভার থাকে।
পরিমিত হারে খান। হজমে সাহায্য করে টক দই খান। রায়তা করে বা টক দই দিয়ে ফ্রুট সালাড রাখুন পাতে।
প্রতি দিন তিন লিটার জল খান।
বাদ দেবেন না শরীরচর্চা। সকালে উঠে হেঁটে আসুন বা শরীরচর্চা করুন নিয়মিত।
সান ফ্লাওয়ার বা অলিভ অয়েল দিয়ে ভাজা খান যা স্বাভাবিক ভাবে তৈরি উদ্ভিজ তেল। কঠিন হাইড্রোজেনেটেড তেল এড়িয়ে চলুন।
লুচি, কষা-মাংস বা বিরিয়ানি বা ফিস ফ্রাইগুলো দুপুরের মধ্যে শেষ করুন। শরীর হজম করার সময় পাবে। রাতে খেলে অনেক সমস্যা। প্রক্রিয়া করা খাবার দেরিতে হজম হয়। সকালে এনার্জির অভাব আর পেট ভার থাকে।
পরিমিত হারে খান। হজমে সাহায্য করে টক দই খান। রায়তা করে বা টক দই দিয়ে ফ্রুট সালাড রাখুন পাতে।
প্রতি দিন তিন লিটার জল খান।
বাদ দেবেন না শরীরচর্চা। সকালে উঠে হেঁটে আসুন বা শরীরচর্চা করুন নিয়মিত।
এক্সারসাইজ: বেশি রাতে ঘুমালে সকালে উঠে এক্সারসাইজের এনার্জি পাবেন না। তাই বিকেলের দিকে এক্সারসাইজ করুন। বেলা ৪টে বা ৫টা নাগাদ।
জিমে না গেলেও সকালে হাঁটুন , জগিং করুন , স্কিপিং করুন
কার্ডিও কম করুন: রাতে বেশি করে ঘোরার পরিকল্পনা থাকলে কার্ডিও কমিয়ে ফেলুন। ক্লান্ত হয়ে পরবেন।
আরও পড়ুন:পুজোয় বেড়াতে যাচ্ছেন? এই সব ওষুধ সঙ্গে না নিলে সমস্যা বাড়বে
ওয়ার্ম আপ: ২-৩ মিনিট ঘরে বা বাইরে হাঁটা বা জগিং করে একটু ঘাম বার করুন। চটপট ক’টা স্ট্রেচ করুন। এ বার শুরু হোক পেটের জন্য কোর এক্সারসাইজ।
ডেড বাগ: ঘরের দেওয়ালের সামনে চিত হয়ে মাটিতে শুয়ে পরুন। দেওয়ালে দুই হাতে ভর রেখে একদম সাইক্লিং করার ভঙ্গিতে পর্যায়ক্রমে ডান পা আর বাঁ পা কোমর থেকে সামনের দিকে নিন আবার টেনে আনুন। দু’পায়েই ১২ বার করে। তিন বার রিপিট করুন।
সাইড প্ল্যাঙ্কের রো: একটা রাবারের টিউব সংগ্রহ করুন। গ্রিলে আটকে হাতলটা টেনে ধরুন বাঁ হাতে। ডান কনুই আর পায়ের জোরে শরীরটা পাশাপাশি শূন্যে তুলুন। মাথা, কাঁধ ও কোমর এক সরলরেখায় থাকবে। এই অবস্থায় থেকে টিউবটা টানুন আর ছাড়ুন। দু’দিকেই ১২ বার করে। তিন বার রিপিট করুন।
প্রোন কোবরা রেজ: উপুর হয়ে শুয়ে পা জোড়া রেখে বুক আর মাথা সিলিংয়ের দিকে তুলুন। দুই সেকন্ড ধরে রেখে নামান। এ ভাবে ১২ বার করুন। এর পর এক মিনিট বিশ্রাম নিন। তিন বার রিপিট করুন।
ওয়াইপার: চিত হয়ে শুয়ে দুই হাঁটু ভাঁজ করে কোমরের ঠিক উপরে রাখুন। এ বার গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনের ওয়াইপার যেমন এক দিক থেকে অন্য দিকে যায় সে রকম হাঁটু দুটো ডান আর বাঁ পাশ করুন। দু’দিকে ১২ বার করে ঘোরান। আগের মতো তিন বার রিপিট করুন।
কোর এক্সারসাইজ শেষ হলে দুই মিনিট বিশ্রাম নিয়ে শুরু করুন।
মাউন্টেন ক্লাইম্বার: দুই তালুতে ভর রেখে ঠিক পুশ আপ দেওয়ার ভঙ্গিতে থাকুন। এ বার পর্যায়ক্রমে ডান আর বাঁ হাঁটু বুকের দিকে তুলুন আর নামান। একেবারে পাহাড়ে চড়ার ভঙ্গিতে। দু’পায়ে ৩০ বার করে করলে এক সেট। এ ভাবে ৩-৪ সেট করুন এক মিনিট করে বিশ্রাম নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy