সন্ধে সাতটার পর কয়েকটি কাজ করলেই বদলে যেতে পারে জীবন। ছবি: সংগৃহীত।
মেপে খাওয়াদাওয়া, বাইরের খাবার কম খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা, উৎসব-অনুষ্ঠান ছা়ড়া মদ্যপান না করা, চিনি থেকে শতহস্ত দূরে থাকা— ফিট থাকতে কম বয়স থেকেই অনেকে নানা নিয়মে নিজেকে বেঁধে রাখেন। এমন কঠোর অনুশাসনের মধ্যে দিয়ে গেলে নিঃসন্দেহে সুস্থ থাকবে শরীর। পাশাপাশি, এই নিয়মের বেড়ি পায়ে বাঁধলে অনেক উদ্যাপন, অভিজ্ঞতা থেকেও দূরে সরে থাকতে হবে। তার চেয়ে সুস্থ থাকার অন্য উপায় খুঁজে নেওয়া জরুরি। সন্ধে ৭টার পর কয়েকটি অভ্যাসে বদলে যেতে পারে জীবন। শুধু শরীর নয়, এই অভ্যাসগুলি যত্ন নেবে মনেরও।
১) সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত কী কী করলেন, চোখ বন্ধ করে ভাবুন। মাঝেমাঝে দিনের শেষে এসে দিনের শুরুটা ফিরে দেখা জরুরি। নিবিষ্ট মনে ভাবলে অনেক ভুল, ত্রুটি, খারাপ লাগা, ভাল লাগার সন্ধান পাবেন। সেগুলি জানা থাকলে পরের দিন একই ভুল করার আগে দু’বার ভাববেন। দৈনন্দিন জীবনে ভুলের পরিমাণ যত কমবে, উদ্বেদ, চিন্তাভাবনাও তত কম হবে।
২) সকালে ঘুম থেকে উঠেই অফিসের মেল, গুচ্ছ মেসেজ, ফোন। অফিসে গিয়ে সারা দিন চোখ থাকে ল্যাপটপে। ফেরার পথেও ভিড় বাসে, মেট্রোয় ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ঘেঁটে নেওয়া। সারা দিন প্রায় যন্ত্রের সঙ্গে সহবাস করতে হয়। সন্ধে ৭টার পর তাই যন্ত্র থেকে দূরে চলে যাওয়া জরুরি। যন্ত্রের সঙ্গ ছেড়ে বরং বই পড়তে পারেন, যোগাসন করতে পারেন, ভাললাগার কাজ করতে পারেন। তাতে মন, মস্তিষ্ক এবং শরীর— সব কিছু সুস্থ এবং শান্ত থাকবে। মানসিক অস্থিরতাও কমবে। মনোযোগ বাড়বে।
৩) পরের দিনের যাবতীয় পরিকল্পনা আগের দিন সন্ধ্যায় করে রাখতে পারেন। তাতে সকালে উঠেই দৌড়ঝাঁপ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। তাড়াহুড়োয় অনেক সময় ঠিক করে খাওয়া হয় না, অফিস যেতে দেরি হয়ে যায়, কাজ নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা করা হয় না। দিনের শেষে তাতে মানসিক চাপ বাড়ে। দীর্ঘ দিন এমন চলতে থাকলে শরীর এবং মনের ক্ষয় হয়।
৪) সারা দিনের ব্যস্ততায় নাভিশ্বাস উঠে যায়। সেই সঙ্গে কাজের চাপ, চিন্তা, উদ্বেগ তো রয়েছেই। নিজের মনকে শান্ত করতে তাই সন্ধেবেলায় বাড়ি ফিরে শ্বাস নিন প্রাণ ভরে। ধ্যান করতে পারেন। তাতে মানসিক ক্লান্তি ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে।
৫) সন্ধে ৭টার পর থেকে নিজের সময় শুরু হোক। নিজের যত্ন নিন। দিনের হাজার ব্যস্ততায় হয়তো আয়নার সামনে দাঁড়ানোর সময় পাননি। ত্বকের ক্লান্তি তাড়াতে রূপচর্চায় মন দিতে পারেন। নিজের ভালমন্দ নিয়ে ভাবা জরুরি। নিজেকে সময় দেওয়া মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকার সবচেয়ে বড় ওষুধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy