টাইগার শ্রফ। ছবি: সংগৃহীত
বেশ কয়েক বছর আগে একটি সাক্ষাৎকারে টাইগার শ্রফ জানিয়েছিলেন, কোনও বিষয় নিয়ে মানসিক চাপে থাকলে তিনি জিমে চলে যান। ফোন বন্ধ করে কোনও দিকে না তাকিয়ে শরীরচর্চায় মনোনিবেশ করলে চাপমুক্ত হন তিনি। বলিপাড়ায় কান পাতলে যে ফিটনেস সচেতন নায়কদের নাম শুনতে পাওয়া যায়, টাইগার কিন্তু তাঁদের মধ্যে অন্যতম। পর্দায় তাঁর অভিনয় নিয়ে নিন্দকরা যা-ই বলুন, মেদহীন পেশিবহুল চেহারায় কিন্তু অনেকের চেয়েই এগিয়ে আছেন টাইগার।
আলি আব্বাস জাফরের পরিচালনায় ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ ছবির শুটিং শুরু হয়েছে। ছোটে মিয়াঁর ভূমিকায় রয়েছেন টাইগার। নতুন ছবির কাজ হাতে এলেই ফিটনেস নিয়ে অতিমাত্রায় সচেতন হয়ে পড়েন অভিনেতা। তার মানে এই নয় যে, তিনি অন্য সময় শরীরের যত্ন নেন না। এ কথা তাঁর শত্রুরাও বলতে পারবেন না। বারোমাস ডায়েটে থাকেন টাইগার। তা অবশ্য অভিনেতার চেহারা দেখলেই বোঝা যায়। মাস্ল, সিক্স প্যাক, পেশিবহুল চেহারার নেপথ্যে যে কঠিন পরিশ্রম রয়েছে, তা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। কিন্তু কতটা পরিশ্রম করলে তবে টাইগারের মতো চেহারা পাওয়া যায়, তা জানতে চান অনেকেই।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের ফিটনেস রুটিনের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেতা। শরীরচর্চার চেয়েও ডায়েটে বেশি জোর দেন তিনি। তবে রবিবার কোনও ডায়েট করেন না তিনি। সপ্তাহে একটি দিন অল্প হলেও বাইরের খাবার খান অভিনেতা। সপ্তাহে এক দিন ‘চিট ডে’ রাখা নাকি আদতে শরীরের জন্যও ভাল, তেমনটাই মনে করেন টাইগার। তবে সারা বছর তিনি যে কঠোর ডায়েট করতে পারেন, তার বেশির ভাগ কৃতিত্ব টাইগার তাঁর ব্যক্তিগত পুষ্টিবিদকে দিতে চান। চিনি, নুন, মিষ্টি, আলুর স্বাদ প্রায় ভুলতে বসেছেন টাইগার। তবে তা নিয়ে কোনও আফসোস নেই নায়কের। দর্শক যদি তাঁকে এমন পেশিবহুল, সুঠাম চেহারায় দেখতে পছন্দ করে থাকেন, তা হলে তিনি পরিশ্রম করতে রাজি আছেন।
শুটিং না থাকলে বাড়িতেই থাকতে পছন্দ করেন অভিনেতা। সকালে উঠে জিমে যান, ফিরে নাচের অনুশীলন করে, ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকে ডায়েট, তার পর কিছু ক্ষণ সময় বার করে ঘুমিয়ে নেন— এ ভাবেই কাটে তাঁর অবসর। মাঝেমাঝে বিকালের দিতে সাঁতার কাটতে যান। টাইগারের রোজের রুটিন শুনে অবশ্য অনেকেই হাত তুলে নিয়েছেন। অনুরাগীদের মতে, টাইগারের পক্ষেই এটা সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy