প্রতীকী ছবি।
খাবার শুধু শরীরকে পুষ্টিই দেয় না, মানসিক স্বাস্থ্যেরও জন্যও খাবার গুরুত্বপূর্ণ। অবসাদে ভুগলে তাই কেবল মুঠোমুঠো ওষুধ নয়, নজর রাখতে হবে খাদ্যাভ্যাসেও। পাতে রাখুন এমন কিছু খাবার, যা আপনার মনকে একটু হলেও তরতাজা রাখে।
মাছ: একটু তৈলাক্ত মাছ রাখুন পাতে। খেতে পারেন টুনা, স্যামন জাতীয় মাছ। এই ধরনের মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। এমনকি বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমেও জানা গিয়েছে যে, মাছ যাঁরা বেশি খান, তাঁদের অবসাদজনিত সমস্যা অনেক কম হয়।
বাদাম: বাদাম খেতে ভালবাসেন? খেতে পারেন কাজু, হ্যাজেল নাট, আখরোট ইত্যাদি বাদাম। প্রত্যেকটিতেই প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি-অ্যাসিড রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন আখরোট খেলে। কারণ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এর জুড়ি নেই। প্রতিদিন ১/৪ কাপ আখরোট খেলে অবসাদের প্রবণতা কমবে।
কড়াইশুঁটি: কাজ করতে করতে টুক করে মুখে পুরে দিন কয়েকটা কড়াইশুঁটি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার। কড়াইশুঁটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ঘন ঘন মনখারাপ বা মেজাজ বদলে যাওয়ার মতো সমস্যা অনেক কমে।
বীজ: রোজ স্যালাড বা স্যুপের সঙ্গে একটু ফ্ল্যাক্সসিড আর চিয়াসিড খেয়ে দেখুন। মন খারাপের সমস্যা অনেকটাই কমবে। এই দুই বীজেও রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। রোজ প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ করে এই বীজ খেলেই মিলবে উপকার।
মুরগির মাংস: মুরগির মাংসও কমাতে পারে অবসাদের ঝুঁকি। বাজার থেকে কেনার সময় চিকেন ব্রেস্ট কিনে আনুন। এতে অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান, যা সেরোটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে ঘুম তো ভাল হয়ই আর মনও ভাল থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy