শেষমেশ হল কি বিয়ে? —প্রতীকী ছবি।
প্রেম কোনও বয়সের বাঁধন মানে না, মানে না কোনও সম্পর্কের বেড়াজাল— এমনটাই প্রমাণ করলেন বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার শ্বশুর-বৌমার জুটি। তাঁদের প্রেমকাহিনি এখন গোপালগঞ্জের লোকেদের মুখে মুখে ঘুরছে।
৪ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জের ভোরে থানার বাইরে শুরু হয়েছিল হইচই। শ্বশুর-বৌমার বিয়ে হতে দিতে নারাজ তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবেশীরাও ভিড় জমিয়েছিলেন থানার সামনে। ছ’মাস আগে মৃত্যু হয়েছিল মহিলার স্বামীর। তার কিছু দিন পরেই খুড়শ্বশুরের প্রেমে পড়েন চার সন্তানের মা সেই মহিলা। তাঁদের সম্পর্কের বাঁধন এতটাই পোক্ত হয়ে ওঠে যে, একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। তবে কারওরই পরিবারের সম্মতি ছিল না সেই বিয়েতে।
খুড়শ্বশুর আর বৌমার বিয়ের দিনেই নানা রকম ঝামেলা শুরু করে দেন পরিবারের সদস্যরা। মহিলার উপর শুরু হয় নির্যাতন। পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শ্বশুর-বৌমা। থানার বাইরে জমে যায় ভিড়। শ্বশুর আর বৌমা সমস্ত বিষয়টি থানার বড়বাবুর সামনে খুলে বলেন। থানায় বড়বাবুর উপস্থিতিতেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। মন্দিরে নয়, থানাতেই বসে বিয়ে আসর। হয় মালাবদল, সিঁদুরদান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy