করোনা হলে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা বাড়ে। ছবি: সংগৃহীত
কোভিডের চিকিৎসায় বহু চিকিৎসকই এখন রোগীদের ‘ব্লাড থিনার’ বা রক্তের ঘনত্ব কমানোর ওষুধ দিচ্ছেন। কেন এই ওষুধ এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে?
গত বছর করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকেই চিকিৎসকেরা লক্ষ্য করেন, বহু কোভিড রোগীর মৃত্যুর পিছনে রয়েছে রক্ত জমাট বাঁধার কারণ। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলা হয়, ‘ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস’। কিছু শিরায় রক্ত জমাট বাঁধে। সেই জমাট বাঁধা রক্ত পরে শরীরের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে। এটাই পরবর্তী কালে হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই অবস্থা থেকে রোগীদের বাঁচাতেই রক্তের ঘনত্ব কমানোর ওষুধের প্রয়োগ শুরু হয়।
কখন এই ‘ব্লাড থিনার’ দেওয়ার দরকার হয়? এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক হৃদরোগবিদ সরোজ মণ্ডলের মতে, রক্তপরীক্ষা করে দেখা হয়, কাদের রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা বেশি। তাঁদের এই ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়। ‘‘ডি ডাইমার পরীক্ষা করা হয় বহু কোভিড আক্রান্তের। যদি দেখা যায়, ডি ডাইমারের অঙ্কটি ৫০০-র উপরে উঠে গিয়েছে, তা হলে তাঁদের ব্লাড থিনারের মতো ওষুধ দেওয়া হয়।’’
পরিসংখ্যান বলছে, হাসপাতালে যাঁদের চিকিৎসা চলছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশের বেশি করোনা আক্রান্তের মধ্যে ‘ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস-এর সমস্যা হচ্ছে। কেন কোভিড রোগীদের রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে? অনেক চিকিৎসক বলছেন, কোভিডের জীবাণু শিরার ভিতরের দেওয়ালে প্রভাব ফেলছে। তাতেই বাড়ছে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের চিকিৎসক যোগীরাজ রায়ের মতে, ‘‘একাধিক কারণ থাকতে পারে এর পিছনে। দীর্ঘ ক্ষণ শুয়ে থাকা, হাঁটাচলা কমে যাওয়াও কারণ হতে পারে।’’
যোগীরাজের কথায়, ‘‘দু’ধরনের ‘ব্লাড থিনার’ হয়। ‘অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট’ আর ‘অ্যান্টিপ্লেটলেট’। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ‘অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট’-এর প্রয়োগ হয়েছে কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে। কাজও হয়েছে।’’ এই ধরনের ‘ব্লাড থিনার’ বা রক্তের ঘনত্ব কমানোর ওষুধ প্রয়োগ করে ইতিমধ্যেই অনেকের প্রাণ সংশয় এড়ানো গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধ খাওয়া যাবে না। যাঁদের অবস্থা বিশেষ গুরুতর নয়, তাঁরাও এই ওষুধ খেতে পারবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy