বাঁদরের শরীরে ‘কোভ্যাক্সিন’-এর পরীক্ষা।
করোনা যুদ্ধে বিপুল আশা জাগিয়েও, স্থগিত হয়ে গিয়েছে অক্সফোর্ডের তৈরি টিকা ‘কোভিশিল্ড’-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (ক্লিনিক্ল্যাল ট্রায়াল)। তবে নতুন পথের দিশা দেখাচ্ছে ভারতের তৈরি করা টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এবং পুণের ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনালের যৌথ ভাবে তৈরি করা ওই টিকা মানুষ ছাড়াও অন্যান্য স্তন্যপায়ীদের শরীরে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মানুষের শরীরে ‘কোভ্যাক্সিন’-এর পরীক্ষা চলছে। এ ছাড়াও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শরীরেও ওই টিকা কতটা কাজ করে সে জন্যও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে বড়সড় সাফল্য মিলেছে। টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাটির সূত্রে জানা গিয়েছে, চারটি দলে ভাগ করে ২০টি রিস্যাস ম্যাকাস প্রজাতির বাঁদরের উপরেও ওই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল। তার ফল মিলেছে আশাতীত। এমনটাই জানিয়েছেন ওই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত বিপিন এম বশিষ্ঠ নামে বিজনৌরের এক চিকিৎসক। তিনি টুইট করেছেন, ‘‘কোভ্যাক্সিন ম্যাকাসের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে।’’
কী ভাবে চালানো হয়েছিল পরীক্ষা? রিস্যাস ম্যাকাস শ্রেণীর ওই বাঁদরদের একটি দলকে প্ল্যাসিবো (আসল টিকা নয়) দেওয়া হয়েছিল। বাকি তিনটি দলকে ১৪ দিনের মধ্যে তিনটি ভিন্ন ধরনের টিকা দেওয়া হয়েছিল। তাতে যা ফল মিলেছে তা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক বলেই মনে করছেন গবেষকরা। কারণ, টিকা দেওয়ার পর রিস্যাস বাঁদরদের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হতে শুরু করে। পরীক্ষায় এটাও দেখে গিয়েছে, ওই তিনটি দলে ভাগ করা বাঁদরদের শরীরে নিউমোনিয়ার লক্ষণ নেই।
আরও পড়ুন: ফের সাড়ে ৯৭ হাজার নতুন আক্রান্ত, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৮১ হাজার
এক গবেষকের মতে, ‘কোভ্যাক্সিন’ ওই বাঁদরদের শরীরে শক্তপোক্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে। মানুষের শরীরেও ‘কোভ্যাক্সিন’-এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। দেশ জুড়ে ১২টি কেন্দ্রে চলছে ওই ট্রায়াল। দ্বিতীয় পর্যায়ে পা দিয়েছে মানব শরীরে ‘কোভ্যাক্সিন’-এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।
আরও পড়ুন: বেলাগাম সংক্রমণে দিশেহারা পুণে-মুম্বই-ঠাণে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy